কলমাকান্দায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশ | ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৫৯

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

গত দুই দিনের অতিবৃষ্টি ও পহাড়ী ঢলে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার উব্দাখালী নদীসহ বেশ কয়েকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। 

রোববার বেলা ১১টার দিকে উব্দাখালী নদীর কলমাকান্দা ডাকবাংলো পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

এ ছাড়া মহাদেও, গনেশ্বরী, মঙ্গলেশ্বরী, বৈঠাখালী, মহেষখলা নদী ও পাঁচগাও ছড়ার পানি বেড়েই চলেছে। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জানা গেছে, পানিবৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার কলমাকান্দা সদর, রংছাতি, খারনৈ, লেংগুরা, নাজিরপুর এই পাঁচটি ইউনিয়নের বেশ কিছু সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। 

অর্ধশত গ্রামের অন্তত ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্ধী রয়েছে। তলিয়ে গেছে শতাধিক পুকুর ও আমন ধানের ফসলসহ শাক-সবজি। মাঠে ও বারান্দায় পানি ওঠেছে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। 

খারনৈ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বলেন, আমার ইউনিয়নের বাউসাম, লক্ষীপুর, গৌরীপুর, বিষ্ণুপুর, বাঘারপাড়, শ্রীপুর, রুদ্রনগর, বিশ্বনাথপুর, গজারমারীসহ কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে। 

বেশ কিছু গ্রামীণ সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘরে ও উঠানে পানি ওঠেছে। কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাঠেও পানি রয়েছে। আর এক থেকে দেড় ফুট পানি বাড়লে প্রচুর বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যাবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর ১৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান ও ৩০০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজি রোপন করা হয়েছিল। 

তার মধ্যে প্রায় ৮ হাজার হেক্টর আমন ধান ও ৭০ হেক্টর শাক-সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে। কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা.) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, পানিতে উপজেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। জরুরি মুঠোফোন নম্বর খোলা হয়েছে।

 শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রস্তুত রাখা আছে। আজ দুপুরে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হবে। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা পাওয়া যাবে। 

যাযাদি/ এম