গাজীপুরে বহিস্কৃত বিএনপি নেতা ফারুক ও মনির খানের নেতৃত্বে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল

প্রকাশ | ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৫৮

টঙ্গী, গাজীপুর প্রতিনিধি
ছবি যাযাদি

গাজীপুরে বহিস্কৃত বিএনপি নেতা ফারুক খান ও মনির  খানের নেতৃত্বে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল হামলা লুটপাটের  অভিযোগ উঠেছে। উক্ত ঘটনায় প্রথমে গাছা থানায় ও পরবর্তীতে গাজীপুর সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৬ নং ওয়ার্ডের ডিস ব্যবসায়ী মৃত সেকান্দার আলীর পুত্র সোহেল রানা বাদী হয়ে অভিযোগ দুটি দায়ের করেন। অভিযোগে ফারুক খান,মনির খানসহ ১৩ জন ও অজ্ঞাত ৬০-৭০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগসূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর গাজীপুরের বহিস্কৃত বিএনপি নেতা ফারুক খানের নেতৃত্বে ব্যবসায়ী সোহেল রানার এম আর নেটওয়ার্ক ডিস ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি দখলের চেষ্টা করে। বিষয়টি গাছা থানা পুলিশকে অবহিত করেন সোহেল রানা। গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ফারুক খান, মনির খান  ও ব্যবসায়ী সোহেল রানাকে নিয়ে থানায় বসে সমাধানের চেষ্টা করেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত অনুমান ৮ ঘটিকার সময় সোহেল রানা গাছা থানায় আসলে পুলিশের উপস্থিতিতে ফারুক খান,মনির খান ও তার লোকজন সোহেল রানা উপর হামলা চালায়। এসময় ফারুক খান, মনির খানের নেতৃত্বে প্রায় ৬০-৭০ জন লোক থানা ঘেরাও করে রাখে। থানা প্রাঙ্গণে সোহেল রানার কর্মচারীকে মারধর করার পাশাপাশি সোহেল রানাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান ও জোর পূর্বকভাবে সোহেল রানাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এমতাবস্থায় গাছা থানার এসআই ফোরকান ও তার সঙ্গীয় ফোর্সগন সোহেল রানাকে হেফাজতে রাখেন ও পরবর্তীতে এসআই ফোরকান সোহেল রানাকে বাসায় পৌছে দেন। সোহেল রানা থানায় অবরুদ্ধ থাকা অবস্থায় ফারুক খান,মনির খান ও তার লোকজন এম আর নেটওয়ার্কের অফিসে গিয়ে কর্মচারীকে মারধর করে ৩ টি ট্রান্সমিটার লুট করে নিয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে পূনরায় গাছা থানা পুলিশকে অবগত করলে তারা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেওয়ার পরার্মশ প্রদান করেন।

এঘটনার প্রতিকার পেতে গাজীপুর সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার বরাবর অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী সোহেল রানা। সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার বরাবর অভিযোগ করলে আরো ক্ষিপ্ত হন বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ফারুক খান ও মনির খান। অভিযোগের পরের দিন সকালে সোহেল রানার কর্মচারীর মাধ্যমে সোহেল রানাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। নয়তো মেরে ফেলার কথা বলেন ফারুক খান ও মনির খান  তার লোকজন। এবিষয়ে ব্যবসায়ী সোহেল রানা প্রতিকার পেতে সরকারের বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি। বরং চরম নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে দিনাতপিাত করছেন। সোহেল রানা তার নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তার পাশাপাশি এম আর নেটওয়ার্ক ডিস ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি দখলমুক্ত করতে অন্তবর্তী কালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবিষয়ে ফারুক খানের ব্যবহৃত মুঠোফোন নাম্বারে ৭ যোগাযোগ করা হলে তিনি পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত নই। তারা সবাই আওয়ামীলীগ করতো। আমি বিএনপির বহিস্কৃত নেতা। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহি:প্রকাশ। গাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাবুল হোসেনের কাছে জানতে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফোরকান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

যাযাদি/এসএস