বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার রুনশি ১ নং ওয়ার্ডের মো: মেনাজ উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র মো: রাসেল হাওলাদার (৩০) কে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় ১ অক্টোবর রাসেল হাওলাদারের স্ত্রী আবেদা বেগম ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। থানায় মামলা হওয়ার ৫ দিন পার হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। উল্টো এই মামলার আসামিরা থানায় মামলা করার কারণে মামার বাদি পক্ষকে বিভিন্ন রকম হুমকি দিয়ে আসছে। আহত রাসেল হাওলাদারের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।

মামলা সুত্রে জানা যায়, রাসেল হাওলাদারের সাথে প্রতিবেশী মো: মিরাজ হাওলাদার ও রোকন হাওলাদারের সাথে দীর্ঘদিন থেকে বিরত চলে আসছ। দীর্ঘদিনের বিরোধকে কেন্দ্র করে রাসেল হাওলাদার বাদী হয়ে এর আগে আদালতে মিরাজ ও রোকন হাওলাদারের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন।

আদালতের সেই মামলা করার পর থেকেই রাসেল হাওলাদারকে মামলা তুলে নিতে প্রতিপক্ষরা দীর্ঘদিন থেকে হুমকি দিয়ে আসছিল। এরি ধারাবাহিকতায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টায় রাসেল তার বাড়ি ফেরার পথে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মিরাজ ও রোকন হাওলাদার তার বাহিনী নিয়ে রাসেলের উপরে হামলা চালায়। হামলা চলাকালে হামলাকারী মিরাজ রাসেল হাওলাদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে রামদা দিয়ে কোপ দেয়। হামলায় রাসেল হাওলাদার অজ্ঞান হয়ে পড়লে হামলাকারী রাসেলকে মৃত্যু ভেবে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়।

আহত রাসেল হাওলাদারে স্ত্রী আবেদা বেগম জানান, আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওরা হামলা করে। অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এর পরে ১ অক্টোবর হামলা ঘটনায় থানায় মামলা হলেও পাঁচ দিনে পুলিশ আসামি একজনও গ্রেফতার করতে পারেনি। এখন মামলা করে আমরা আরো বড় বিপদে পড়েছি। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। এখন আমাদেরকে বিভিন্ন রকম হুমকি দিয়ে আসছে। আমার স্বামী রাসেল হাওলাদার এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

বাকরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মোস্তফা জানান, রিয়াজ হাওলাদারের উপর হামলা ঘটনায় একটি মামলা নেয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

যাযাদি/ এম