সৈয়দপুরে দীর্ঘদিন ধরে এমনিতেই সড়কগুলোর বেহাল দশা 

প্রকাশ | ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৫১

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভা এলাকার সড়কগুলোর এমনিতেই বেহাল দশা। তার ওপর কয়েকদিন বৃষ্টিপাত চলায় সড়কগুলোর অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে। পৌর এলাকার প্রতিটি সড়কেই সৃষ্টি হয়েছে নতুন বড়-বড় গর্তের। ফলে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় বেড়েছে জন-দুর্ভোগও।  

গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে টানা বৃষ্টিপাত হয় এই জনপদে। অবশ্য গত রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে আর কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে বৃহস্পতিবারও (৩ অক্টোবর) সকালে বৃষ্টিপাত হয়েছে।  

সৈয়দপুর পৌরসভার সূত্র মতে, সৈয়দপুর পৌরসভার ৩৫ বর্গ-কিলোমিটার জুড়ে শহরে রয়েছে ২০০ কিমি পাকা সড়ক। এর মধ্যে ১০টি প্রধান সড়ক ও পাড়া-মহল্লার সড়ক। গত পাঁচ দিনের বৃষ্টিতে শহরের জলাবদ্ধতায় ৭০ভাগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  

সূত্রটি জানায়, টানা বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় সৈয়দপুর শহরের কত কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা’ এখনও নিরূপণ করা যায়নি। তবে পৌরসভার একটি সূত্র মতে, শহরের ১০০ কিলোমিটার সড়কে ভয়াবহ খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও শহরের ৭০ ভাগ রান্তা দীর্ঘদিন মেরামত ও সংস্কার না করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে।  

পৌরসভার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক হচ্ছে সৈয়দপুর তামান্না সিনেমা হলের মোড় থেকে ওয়াপদা পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়ক, শহীদ জহুরুল হক (বিচালিহাটি) থেকে মিস্ত্রীপাড়া মোড় পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়ক। এই দু’টি সড়ক মেরামতের জন্য সৈয়দপুরের মানুষ আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন।

সৈয়দপুর নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন জাভিস্কো জানান, সৈয়দপুর হচ্ছে একটি প্রাচীনতম প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। গত ১০ বছরে এ শহরের কোনো সড়কই মেরামত করা হয়নি। ক’দিনের টানা বৃষ্টিতে ওই সড়কগুলো আরও ঝুঁকিপূর্ণ ও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দ্রæত এসব মেরামত করতে হবে।  

সরজমিনে গেলে তামান্না সিনেমা হলের মোড়ে রিকশা চালক ফতে আলী (৪০) জানান, সড়কের অবস্থা এত খারাপ যে প্রতিদিন রিক্সার যন্ত্রপাতি কিনতে-কিনতে মরে যাচ্ছি। ভাঙা সড়কে রিক্সা চালাতে গিয়ে কোনোদিন ফ্রগ আবার কোনোদিন চাকার স্পোক ভাঙছে। চেসিস ফেটে যাচ্ছে। যাত্রী নিয়েও সড়কে হুমড়ি খেয়ে পড়তে হচ্ছে।  

ইজি-বাইক জিসান আলী (৩২) বলেন, গত শনিবার প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। ওইদিন আমার অটো সড়কের গর্তে পড়ে যায়। এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। এমন ভাঙাচোরা সড়কে যানবাহন চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌরসভার প্রশাসক নূর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, আমি এখানে নতুন এসেছি। পৌরসভার ঝুঁকিপূর্ণ সড়কের তালিকা করা হচ্ছে। জন-দুর্ভোগ কমাতে এসব সড়ক দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। 

যাযাদি/ এম