পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ডুমরিয়া নেছারিয়া বালিকা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ একে এম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, মাদ্রাসায় যোগদানের পর থেকেই তিনি( অধ্যক্ষ) একক আধিপত্য বিস্তার করেছেন। অনুগত ম্যানেজিং কমিটির লোকদের দিয়ে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালী সিন্ডিকেট। একের পর এক মনগড়া সিদ্ধান্ত ও অদূরদর্শিতা, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের দুর্নীতির কথোপকথনের অডিও ভাইরাল ও নানা অনিয়মের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন তিনি। শিক্ষার মানোন্নয়নের চেয়ে নিজের আখের ঘুচাতে ব্যস্থ হয়ে পড়েন অধ্যক্ষ একে এম ফজলুল হক।
স্থানীয়রা আরো জানান, এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ নিয়োগ বাণিজ্য, এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশকৃত দুই জন শিক্ষকের কাছে ঘুষ দাবি, বেতন স্কেল বাড়ানোর নামে শিক্ষকদের কাছে টাকা দাবি সহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এছাড়াও গত ১০ সেপ্টেম্বর চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারি নিয়োগে দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা মাঠে অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল হকের অপসারণ এর দাবিতে অত্র মাদ্রাসার শিক্ষার্থী,শিক্ষক, অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর উদ্যোগে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর তারা একটি স্মারক লিপিও প্রদান করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২সেপ্টেম্বর (বুধবার) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুপ রতন সিংহ বিষয়টি আমলে নিয়ে নিজেই সরেজমিনে তদন্ত করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরূপ রতন সিংহ জানান, প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অসচ্ছতা ও বিভিন্ন অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে সে প্রেক্ষিতেই অভিযোগকারী, ছাত্র-অভিভাবক ও স্থানীয়দের কথা শুনেছি। প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সকল দলিলাদি এবং প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় বিবরনী উপস্থাপনের জন্য সময় বেধে দেয়া হয়েছে। সকল পক্ষের তথ্য উপাত্ত ও প্রমাণক বিশ্লেষণ করে পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে, মাদ্রাসা অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল হক কে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
যাযাদি/ এসএম