দুর্গাপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ট্যাক্সের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশ | ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৪৩ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:১৯

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
ছবি যাযাদি

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ৭নং গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক সরকারের বিরুদ্ধে ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ১২ জন ইউপি সদস্য। পরে সন্ধ্যায় স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছেও অভিযোগ পত্র প্রদান করেন তারা।

অভিযোগকারীরা হলেন-ইউপি সদস্য আজিজুল রহমান,শহীদুল ইসলাম,জসিম উদ্দীন,ইদ্রিস আলী,রফিকুল ইসলাম,ইসমাইল হোসেন,আব্দুল আলী,আব্দুল ছালাম,নুরুল আমীন,শামসুন্নাহার,রোকিয়া খাতুন ও জেসমিন আক্তার।

অভিযোগে বলা হয়েছে,২০২৩/২০২৪ইং অর্থ বছরে জনগনের কাছ থেকে উত্তোলন করা ট্যাক্স ও ইউপি সদস্যদের সম্মানি ভাতার ৩০-৩৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক সরকার।

ইউপি সদস্যরা অভিযোগে লিখেছেন,চৌকিদার ও এনজিও কর্মীর মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে ট্যাক্সের টাকা উত্তোলন করেন চেয়ারম্যান। জনগণ টাকা উত্তোলনকারী লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলতো তাদের সরকারিভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেছেন।

তারা আরও লিখেছেন,ট্যাক্সের টাকা উত্তোলন করে এই টাকা দিয়ে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ করবেন বলা হয়েছে। প্রতিটি লোকের কাছ থেকে ২০০ থেকে শুরু করে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়েছে যা সব মিলিয়ে ৩০-৩৫ লাখ টাকা। এসব টাকা চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের বলেছে এই সমস্ত ট্যাক্স উত্তোলন করে সম্মানীভাতা দেওয়া হবে ও এলাকার উন্নয়ণমূলক কাজ করা হবে। কিন্তু সেই টাকা সদস্যদের সম্মানিভাতা প্রদান না করে এবং এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ না করে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক সরকার মুঠোফোনে বলেন,ট্যাক্সের টাকা আদায়,ব্যাংকে জমা ও সদস্যদের সম্মানি ভাতা বিষয়গুলো সচিবের কাজ। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ উত্থাপন করেছে তারা।।

তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন,আমাকে চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দিতে চাপ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি ছাড়েনি বলে এসব মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্তের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যাযাদি/এসএস