প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবীতে শিবপুরে সৈয়দ নগর হাইস্কুলে শিক্ষার্থীদের তালা

প্রকাশ | ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:২০

নরসিংদী ও শিবপুর প্রতিনিধি
ছবি যাযাদি

নরসিংদীর শিবপুরে সৈয়দনগর আতোয়ার রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমানের অপসারণের দাবিতে সকল শ্রেণী কক্ষে তালা দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে শিক্ষার্থীরা। প্রধান শিক্ষকের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত পাঠদানসহ বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। বুধবার (০২ অক্টোবর)  দুপুর ১২ টায় বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অফিস কক্ষসহ সকল শ্রেণী কক্ষ তালাবদ্ধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা, অফিসে ঢুকতে না পেরে বাইরে বসে আছেন শিক্ষকরা। এছাড়াও বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উল্লেখ করে  প্রধান শিক্ষকের দ্রুত অপসারণ চেয়ে দেয়ালে পোস্টার ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া একই দাবীতে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে কয়েকশো শিক্ষার্থী সৈয়দনগর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় মহাসড়কের দুইপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে দূরপাল্লার যানবাহনে থাকা যাত্রীরা। খবর পেয়ে সহকারী শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে দুই ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে মহাসড়ক ছেড়ে বিদ্যালয়ে ফিরে যায় শিক্ষার্থীরা। এরপর দুইঘন্টা অতিবাহিত হলেও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরিক্ষা বর্জন করে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ করতে থাকে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে দফায় দফায় আলোচনা করেও কোনো সুরাহা করতে পারেনি। পরে বিকেলে শিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার  (ইউএনও) শাহ মো: সজীব ও শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ এনে ইউএনওর বরাবর তিনটি অভিযোগ দিয়েছেন অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ বিষয়ে ইউএনও শাহ মো: সজীব বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ পেয়েছি। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকও কয়েকজন সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চয়ন বালাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যাযাদি/এসএস