বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১

অনিন্দ্য সুন্দর খাল বিল বাইদ বন সবুজে ঘেরা মধুপুর গড়

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:৫৫
ছবি: যায়যায়দিন

পাখি চোখে দেখলে মনে হবে এ যেন আ্যামাজানের কোন শাখা প্রশাখা। দ্বীপ -বদ্বীপ। কোন ড্রোন ছাড়লে যত দূর লেন্স যাবে তত দূর ক্যামেরা বন্ধী হবে সবুজের মোহনীয় রূপ। উঁচু জায়গায় কোথাও বন, কোথাও বনের কিছু স্মৃতি জাগানিয়া। কোথাও আনারস কলার বন বনানী। নিচুতে খাল বিল। আবার দুপাশে উচু মাঝ খানে নিচু। এ রকম নিচু এলাকাকে বাইদ বলে থাকে অভিহিত করে থাকে স্থানীয় বসতিরা। তবে বনের ভেতরের পরিবেশ অনেকটা বিপন্ন। তবে উপর থেকে দেখলে মনে হবে সবুজের সমারোহ।

বন বিল বাইদ জালের মতো খালে এ সময়ে বর্ষায় প্রকৃতিতে আমেজ করছে সবুজ আর সবুজ। ধানের খেত, গাছ থেকে শুরু করে পুরোটাই সবুজের মোহনীয় রূপ। বলছিল টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ের কথা। মধুপুর গড়টি জামালপুরের কিছু অংশ থেকে শুরু করে ঢাকার গাজীপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। মধুপুর বন কে স্থানীয়রা অনেকেই টাঙ্গাইলের ফুসফুস বলে থাকে। আবার অনেকেই টাঙ্গাইলের অ্যামাজনও বলে থাকে।

টাঙ্গাইলের সর্ব উত্তরের জনপদের নাম মধুপুর। মধুপুর, ঘাটাইল, সখিপুর, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া, ভালুকা,গাজীপুর পর্যন্ত ভূমি রূপ, ভূ-প্রকৃতি প্রায় একই রকমের। দেখে বুঝতে কষ্ট হবে। বিল বাইদের দৃশ্যগুলো দেখতে তেমন কোন পার্থক্য মনে হবে না । চোখ জুড়ানো সবুজ আর সবুজে ঘেরা। বাইদগুলো এসময়ে সেজেছে নতুন সবুজে। বিলের চার পশে সবুজে রোপা আমান ধানে ছেড়ে গেছে। গ্রামগুলো দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন সবুজে ঘিরে রেখেছে।

ঘাটাইলে ঘুরতে আসা এক নারী জানালেন, মধুপুর ও ধলাপাড়া হয়ে তিনি সাগরদিগিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরছেন। তারমতে, ওই এলাকার পরিবেশ প্রকৃতি অনেক সুন্দর। সকাল বিকেল বেড়াতে ভালো লাগে। এজন্য তিনি মাঝে মাঝে বেড়াতে আসে।

ঘাটাইলের মলাজানি গ্রামে লেখক স্বাধীন আজম বলেন, কালিকাপুর মলাজানিসহ ঘাটাইলের পূর্ব এলাকা অসাধারণ। মনোরম চোখ জুড়ানো দৃশ্য তার কাছে খুব প্রিয়। বিল বাইদ উচু নিচু টিলার বৈচিত্র্য দেখতে অনেক সুন্দর।

মধুপুর বনের চারপাশ ও ভেতরের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা বাইদগুলো অনেক সুন্দর। বৈচিত্র্যময় সবুজে ঘেরা। যেন প্রাণ জুড়ানো। পাখির ডাক শোনা যায়। তবে বন উজাড়ের ফলে বিপন্ন হচ্ছে বন এলাকা। তবে ভূ-প্রকৃতি দেখতে মোহনীয় বলে জানালেন স্থানীয়রা।

এমন সবুজ সতেজ প্রকৃতি রক্ষায় বৃক্ষ রোপান বাড়াতে হবে। রক্ষা করতে হবে মধুপুরের শালবন। দেশি প্রজাতির গাছ রোপনের মধ্যে দিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সকলের এগিয়ে আসতে হবে এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে