খানসামায় শিক্ষকদের ওপর হামলার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

প্রকাশ | ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:৪৯

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার মাগুরমারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠান চলাকালীন সময়ে স্কুলে প্রবেশ করে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে এই স্কুল সম্মুখ মূল সড়কে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় শিক্ষার্থীদের শিক্ষকদের উপর হামলাকারীদের বিচারের দাবি জানান।

এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ২নং ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের মাগুরমারী উচ্চ বিদ্যালয় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের বাদী হয়ে খানসামা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বিদায়ী প্রধান শিক্ষক মতীন্দ্রনাথ রায় অবসর গ্রহণ করলে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল কাদেরকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে স্কুল পরিচলনা কমিটি। কিন্তু  মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) সকালে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে টংগুয়া মাঝাপাড়ার শচীন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে লিটন চন্দ্র রায়, টংগুয়া পুকুড়পাড়ার মৃত বছির উদ্দীনের ছেলে মো. মতিয়ার রহমান ও মো. মিজানুর রহমান প্রতিষ্ঠান চলাকালে বিদ্যালয়ে ঢুকে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। এসময় প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক মনমোহন (বিএসসি) তাদের বাধা দিলে মতিয়ার রহমান তার পায়ের জুতা খুলে বিএসসি শিক্ষক মনমোহন বর্মনকে মারপিট করে। এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের ও সহকারী শিক্ষক হরিকেশর বর্মন মনমোহন বর্মনকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে অভিযুক্তরা তাদেরকে কিল ঘুষি মারে। পরে তারা বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এবিষয়ে অভিযুক্ত মতিয়ার রহমানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। আরেক অভিযুক্ত  লিটন চন্দ্র রায়ের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি মারধরের কথা অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নজমুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যাযাদি/ এসএম