গফরগাঁওয়ে ১০ম গ্রেডের দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন

প্রকাশ | ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:১৮

গফরগাঁও প্রতিনিধি
ছবি যাযাদি

দশম গ্রেড বাস্তবায়নের এক দফা দাবিতে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মানববন্ধন করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা।  মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের সামনে সড়কে   গফরগাঁও উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা মানববন্ধনে অংশ নেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়া ইয়াসমিনের কাছে অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্ঠা  বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষকেরা ।  

অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে  বরভরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজিজুল হক জুয়েলের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি গফরগাঁও উপজেলা শাখার  আহবায়ক হাবিবুর রহমান কাজল,যুগ্ম আহবায়ক ইমরান হোসেন আকন্দ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন দত্তনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রোখসানা পারভীন, রাওনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  সহকারী শিক্ষক নাজনীন হক,বলদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হোসাইন আহমেদ নাইম,শাঁখচূড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেলোয়ার জাহান সুমন প্রমুখ।

 খায়রুল্লাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  সহকারী শিক্ষক লুবনা আক্তার বলেন,  প্রাথমিকে লেখাপড়া করেই একজন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। গ্রাজুয়েশন শেষ করে,  দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতর বা সচিবালয়ে দায়ীত্ব পালন করেন। অথচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন সন্তানকে যে শিক্ষক হাতেখড়ি দিল তার বেতন ১৩ তম গ্রেডে পাচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা আমরা করি বর্তমান সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন করবে।  

উপজেলা শিক্ষক সমিতির  যুগ্ম আহবায়ক ও বাতেনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজিজুর রহমান রতন বলেন,  ‘স্নাতক সম্পন্ন করে একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বেতন পান ১৩ তম গ্রেডে। এদিকে অষ্টম শ্রেণি পাস একজন সরকারি গাড়িচালক বেতন পান ১২তম গ্রেডে। এটি আমাদের জন্য লজ্জার। ‘দশম গ্রেড আমাদের  আমাদের ন্যায্য দাবি। আমাদের সঙ্গে এই বৈষম্যের অবসান চাই।

এ প্রসঙ্গে নিগুয়ারী মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল হাই রতন  বলেন, ‘দশম গ্রেড আমাদের  আমাদের ন্যায্য দাবি।  আমাদের সঙ্গে এই বৈষম্যের অবসান চাই।

ঘাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন বলেন, ‘বর্তমান সময়ে  একজন সহকারী শিক্ষকের ১৩তম গ্রেডে বেতন-ভাতা দিয়ে জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে। অসংখ্য  শিক্ষক পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে আছেন । অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি, উনি যেন আমাদের  বিষয়টি মেনে নেন।’

যাযাদি/এসএস