দেশের একমাত্র স্বনির্ভর খাত লবণ নিয়ে আবারো কলকাঠি নাড়তে শুরু করেছে বিগত সরকারের আমলের লবণ আমদানী সিন্ডিকেট। প্রতিবছর লবণ মৌসুম শুরুর আগে পার্শ্ববর্তী ভারতের পরিতোষ, কবির ও মোস্তফা সিন্ডিকেট কৌশলে লবণ সংকট দেখিয়ে ভুল তথ্য পরিবেশন করে লবণ আমদানীর পাঁয়তারা করে থাকে।
মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) বিকাল ২ঘটিকার সময় হোটেল রয়েল বিচ মিলনায়তনে লবণ চাষী সমিতি কক্সবাজার জেলার সংবাদ সম্মেলন রয়েছে । ২৯ সেপ্টেম্বর ওই দালাল সিন্ডিকেটের প্ররোচনায় শিল্প মন্ত্রনালয়ে লবণের চাহিদা নিরোপন বিষয়ে সভায় কথিত লবণের সংকট দেখিয়ে আমদানীর বিষয়ে সুপারিশ করা হয় বলে জানা গেছে। এর প্রেক্ষিতে কক্সবাজারের লবণ উৎপাদন এলাকায় দেখা দেয় ব্যাপক অসন্তোষ।
কক্সবাজার জেলা লবণ চাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এড, শাহাব উদ্দিন জানান, বর্তমানে মিল ও মাঠ পর্যায়ে চাহিদা মতো লবণ মওজুদ আছে। বিসিক সূত্রমতেও এই তথ্যটি সঠিক। তাই আগামী লবণ মৌসুম শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশে লবণ ঘাটতির কোন আশঙ্কা নেই। এছাড়াও আগামী একমাসের মধ্য লবণ উৎপাদন মৌসুম শুরু হচ্ছে। কিন্তু বিগত সরকারের সময়কার শক্তিশালী লবণ আমদানী সিন্ডিকেট পরিতোষ, কবির ও মোস্তফা কামাল এখনো থামেনি। তারা দেশের অন্যতম স্বনির্ভর লবণ খাতকে ধ্বংস করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। আর তাদের এই কুকর্মে বরাবরই সমর্থন করে আসছে বিগত সরকারের আমলের
এড, শাহাব উদ্দিন আরো জানান, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর ও টেকনাফ আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে ৫০ সহস্রাধিক লবণ চাষী অগ্রীম মাঠে নামছে। আর আগামী একদেড় মাসের মধ্যে নতুন লবণ বাজারে আসবে। আমি হুশিয়ারী দিয়ে বলছি, ফ্যাসিবাদের দোসর চোরাচাল সিন্ডিকেটের ষড়য়ন্ত্র রুখতে হবে। লবণ আমদানী পয়তারা বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় হাজার হাজার লবণ চাষী আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। তিনি এবিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
যাযাদি/ এসএম