সাবেক মন্ত্রী রমেশ সেনকে দুটি হত্যা মামলায় পুনঃগ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ

প্রকাশ | ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:০৫

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের দিন ৪ জনকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলায় পুনঃগ্রেফতার দেখিয়ে সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রমেশ সেনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। 

সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁও চীফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক নিত্যানন্দ রায় তাঁর জামিন আবেদন  নামঞ্জুর করে এই আদেশ দেন। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সদর উপজেলার ছিট চিলারং গ্রামে পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর একরামুদ্দৌলার বাসায় মামলার বাদী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অত্যতম সদস্য জাকির হোসেনের ছেলে রাকিবুল হাসানসহ চারজনকে ডেকে নিয়ে আন্দোলন বন্ধ রাখার প্রস্তাব দেয়। রাজি না হলে পরিকল্পিতভাবে তাদের ঘরের ভিতরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে গ্যাস সিলিন্ডারের মুখ খুলে আগুন লাগিয়ে দেয়। 

এতে অগ্নীদগ্ধ হয়ে রাকিবুল হাসান, আবু রায়হান, আল মামুন ও শাওন পারভেজ মারাত্মক আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এঘটনায় সাবেক এমপি রমেশ সেনকে প্রধান আসামী করে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজন, সাবেক পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যাসহ আরো ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও একই ঘটনায় অগ্নীদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া আবু রায়হানের পিতা ফজলে আলম বাদী হয়ে সাবেক এমপি রমেশ সেনকে প্রধান আসামী করে আরো ৯১জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে। আজ এই দুটি মামলায় তাকে পুন:গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হলো। 

এর আগে গত ১৭ আগষ্ট একটি বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে রমেশ চন্দ্র সেনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায় আদালত। এ নিয়েসাবেক মন্ত্রী রমেশ সেনের  তিনটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো। 

এ ব্যাপারে আসামি পক্ষের আইনজীবী এড মোস্তাক আলম টুলু দাবি করেন , আসামি পক্ষের বক্তব্য ছিল, ছিট চিলারং গ্রামের ঘটনাটিতে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হয়,এটা কোনো হত্যাকাণ্ড নয়। আমার মক্কেল রমেশ সেনের এ ব্যাপারে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। 

এদিকে বাদী পক্ষের আইনজীবী এড জয়নাল আবেদিন জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের মামলা, ফলে আদালত আইনসঙ্গত কারণেই প্রধান আসামিকে জামিন দেননি। তদন্তের প্রয়োজনে রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন , আসামি অত্যন্ত ক্ষমতাধর একজন সাবেক মন্ত্রী ও এমপি হওয়ায় এ অবস্থায় মুক্ত থাকলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে বলে আমরা যুক্তি উপস্থাপন করি। আদালত সরকার তথা বাদি পক্ষের যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

যাযাদি/ এসএম