সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১

 সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের জানাজা অনুষ্ঠিত 

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:৩৬
ছবি : যায়যায়দিন

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে দশ টায় পার্বতীপুর পৌর স্টেডিয়ামে তাঁর জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এটি তাঁর দ্বিতীয় জানাজা নামাজ। প্রথম জানাজা নামাজ রবিবার রাত সাড়ে ১১ টায় ঢাকার মোহাম্মদপুর বাবর রোডে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়,সাবেক এই সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী'র তৃতীয় জানাজা ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ মাঠেে এবং চতুর্থ জানাজা রুদ্রানি ঈদগাঁ ময়দানে অনুষ্টানের পর বাদ জোহর তাঁর গ্রামের বাড়ী জামগ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফনকার্য সম্পন্ন করা হবে।

দিনাজপুর-৫ (পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টায় ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরন করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড.মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য (এমপি)। তিনি ১৯৫৩ সালে দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার জামগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মোস্তাফিজুর রহমান সেক্টর-৭ এর অধীনে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে লড়াই করেন।

তার রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাত ঘটে স্কুল জীবন থেকেই। তার মূলধারার রাজনীতিতে আসা হয় আওয়ামী লীগের মাধ্যমে। আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৯৮৬ সালে প্রথমবারের মতো দিনাজপুর-৫ (পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। পরবর্তীতে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১,২০০৮, ২০১৪,২০১৮ এবং ২০২৪ সালেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি ভূমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী হিসেবে ৭ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি টানা ৩৭ বছর ধরে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৪ সাল থেকে অদ্যাবধি তিনি দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে নেতৃত্বে ছিলেন।

মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী, দুই কণ্যা সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে বিভিন্ন মহল থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে