ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশার নতুন পরিবর্তনের কেতন উড়িয়ে সামাজিক সাম্য

ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবেঃ প্রধান বিচারপ্রতি

প্রকাশ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:২৭ | আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:২৮

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ছবি যাযাদি

বাংলাদের বিচার বিভাগের প্রধান বিচারপ্রতি ড.সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের অস্তিত্ব যতদিন থাকবে, ততদিন জুলাই-আগস্টের ছাত্র- জনতার গণঅভ্যুত্থানে সকল শহীদকে এদেশের মানুষ গভীর ভাবে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

তিনি বলেন, যে মহান আদর্শের উপর ভিত্তি করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে, যে প্রত্যাশায় আমাদের দেশের ছাত্র-জনতা জুলাই-আগস্ট মাসে এক অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন পরিবর্তনের কেতন উড়িয়েছে তার লক্ষ্য ছিল- দেশে সকল স্তরে সামাজিক সাম্য, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করা। এ কথা অনস্বীকার্য যে, একটি ন্যায়ভিত্তিক শোষণহীন সমাজ গঠন এবং সমাজের সর্বস্তরে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য, আইনের শাসনের কোন বিকল্প নেই।

রবিবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে  ফরিদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ কে দেয়া ফুলেল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সংবিধানেও আইনের চোখে সমতা, ন্যায় বিচারের অধিকার ও আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারের কথা বার-বার উচ্চারিত হয়েছে। আর এই সাংবিধানিক চেতনার সফল বাস্তবায়ন করবেন আপনারা, বিজ্ঞ আইনজীবীগণ। একজন বিচারপ্রার্থী ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা নিয়ে প্রথমেই একজন আইনজীবীর দারস্থ হন। পরম নির্ভরতায় বিজ্ঞ আইনজীবীদের উপর তার সম্পদ ও স্বাধীনতা রক্ষার ভার অর্পণ করেন। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের মধ্যকার এই নির্ভরতার সম্পর্ক একটি পবিত্র আমানত। আমি বিশ্বাস করি, ফরিদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সকল সদস্য তাদের পেশাগত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করতে সর্বদা সচেষ্ট আছেন।

অনুষ্ঠানে জেলা আইনজীবী সমিতির সভপতি এ্যাড. আবদুল কাদের মিয়ার সভাপতিত্বে জেলা দায়রা জজের বিচারক জিয়া হায়দার, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্যা, পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল, এ্যাড. মোদাররেস আলী ইছা, এ্যাড. সুবল চন্দ্র সাহা, এ্যাড,. জাহিদ বেপারি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

প্রধান বিচারপ্রতি তরুন আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন,  আপনাদের স্মরণ রাখতে হবে, আপনারা মানুষকে আইনি সেবা প্রদানের জন্য এ মহান পেশায় এসেছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার মহান লক্ষ্য থেকে কখনই আপনারা বিচ্যুত হবেন না। জাগতিক লোভ-লালসা আপনাদেরকে যেন পেশাগত নৈতিকতার জায়গা হতে সরাতে না পারে সে বিষয়ে সর্বদা সচেতন থাকবেন।

ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আরো বলেন, এই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী অকুতোভয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে, যারা একটি শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীণ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে তাজা বুলেটের সামনে নিজেদের বুক পেতে দিয়েছিলেন বলেই আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েঠি।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সম্ভ্রম হারানো মা-বোন, মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন- সার্বভৌম দেশ। এখন আমাদের সকলেই ঐকান্তিক সহযোগিতায় এদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

যাযাদি/এসএস