রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১

সাতকানিয়ায় প্রবাসীর অর্থায়নে সড়ক সংস্কার

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:০৭
ছবি: যায়যায়দিন

দীর্ঘ প্রায় সাত বছরে এ সড়কটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ক্ষমতার পালাবদলে জনপ্রতিনিধিরা শুধু আশ্বাস দিয়ে গেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সংস্কারে এগিয়ে আসেনি কেউ। গাড়ি চালাতে গিয়ে প্রায় সময় গাড়ি নষ্ট হয়ে অনেক টাকা খরচ হয়। যা দৈনিক আয় থেকে চলে গেলে সংসারের ব্যয় মেঠাতে টানাপোড়ন শুরু হয় । অবশেষে ঢেমশা এলাকার দানশীল ব্যক্তি মোজাফফরের উদ্যােগে সড়কটি সংস্কার করে দেওয়ায় এখন গাড়ি চালাতে তেমন কষ্ট হচ্ছে না। কথাগুলো বলছিলেন, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক মোহাম্মদ আলী।

বিগত দুদিন কাজ করে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের চৌধুরী হাটের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী মোজাফফর হোসাইন তাঁর নিজ অর্থায়নে ঢেমশা থেকে কার্তিকের দোকান পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কের বড় বড় গর্তগুলো ইট ও বালি দিয়ে ভরাট করে সংস্কার করে দিয়েছেন।

জান যায়, উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের ঢেমশা থেকে কার্তিকের দোকান পর্যন্ত সড়কটির বেহাল দশা। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে সড়কটি পড়ে রয়েছে অকেজো ও অবহেলায়। গত বছরের বন্যায় সড়কটির বেশিরভাগ অংশজুড়ে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় অনেক গর্ত। এই গর্তগুলোর ফলে সড়কটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ছোটখাটো যানবাহন চলাচল করত। তবে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীদের নিয়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা যায় না। এ সড়কটি দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দৈনিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাসহ কয়েক সহস্রাধিক লোক প্রতিদিন অনেক কষ্টে যাতায়াত করে থাকে। বিষয়টি উপলব্ধি করে প্রবাসী মোজাফফর হোসাইন তাঁর ব্যক্তিগত অর্থায়নে সড়কটি সংস্কারের উদ্যােগ নেন।

স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রমজান আলী বলেন, প্রায় সাত বছর ধরে সড়কটি সংস্কারে কোনো কাজ হয়নি। ফলে সড়কে ছোট-বড় অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়ে বর্তমানে সড়কটি অনেকটা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এলাকার সৌদি প্রবাসী মোজাফফরের সহায়তায় গর্তগুলো ইট-বালি দিয়ে ভরাট করে দেওয়ার গাড়ি ও জনসাধারণের চলাচলের পাশাপাশি অনেক কষ্টের লাঘব হয়েছে।

এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচলরত ঢেমশা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলেয়া সুলতানা রেশমী ও মো. কায়সার বলেন, এ সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত হওয়ায় চলাচলে অনেক কষ্ট পেতে হত। এখন সড়কটি সংস্কার হওয়ার আগের সে কষ্ট এখন আর নাই।

ব্যাটারিচালিত রিক্সাচালক আবদুল মালেক বলেন, কয়েকদিন আগে আমার গাড়িটি গর্তে পড়ে রিক্সার স্প্রিং ও কয়েকটি যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে দেড় হাজার টাকা খরচ হয়েছে। যা আমার দৈনিক আয় থেকে চলে যাওয়ার সংসারের চাহিদামত খরচ করতে পারিনি।

একই এলাকার বাসিন্দা দিদারুল ইসলাম বলেন, মোজাফফর এলাকায় শুধু সড়কটি সংস্কার করেছে তা শুধু নয়, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বেতন দেওয়া, গরীব-অসহায় ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। এলাকার স্বার্থে আল্লাহ তাকে ভালো রাখুক।

সৌদি প্রবাসী মোজাফফর হোসাইন মুঠোফোনে বলেন, উপকার করার মানসে অনেক আগে থেকে ঢেমশা এলাকায় মানুষের কাছে ছিলাম, আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত রাখব।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে