শাল্লায় পূর্ব শত্রুতার জেরে উভয় পক্ষে আহত ২১
প্রকাশ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫২
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় দামপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে মোতাহের হোসেন ও ইউসুফ মিয়া গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল অনুমান সাড়ে ৯টায় দামপুর মাদ্রাসার সামনে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সংঘটিত হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২১ জন আহত হয়েছে। মোতাহের হোসেন গ্রুপের আহত ১২ জন, অন্যদিকে ইউসুফ মিয়া গ্রুপের আহত ৯ জন।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আহমেদ হোসেন বলেন, আমরা মারামারির খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাই। আপাতত আহতরা চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে অভিযোগ এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা ও শাল্লা ইউপি চেয়ারম্যান সূত্রে জানাযায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে আজ সকালে মোতাহের হোসেন ও ইউসুফ মিয়া গংদের মধ্যে সামান্য তর্কাতর্কির বিষয়কে কেন্দ্র করে দামপুর দাখিল মাদ্রাসার সামনে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে একপক্ষ মাদ্রাসার ছাদের উপরে এবং অন্যপক্ষ নিচে থেকে প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অনেকেই আহত হয়ে বিভিন্ন মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছে।
তবে ইউসুফ মিয়ার ভাতিজা মোবারক মিয়া জানান, গতকাল রাতে হুমায়ুন মিয়ার দোকানের সামনে কয়েকজন লোক আমাকে আটক করে। আবার আজ (শনিবার) সকালে আমার ভাতিজা রিমনকে রাস্তায় ৫-৭ জন লোক আটক করে আক্রমন করে। তারপর সৃষ্টি হয় এই মারামারি। আমাদের পক্ষের আহত ৯ জনের মধ্যে ৫ জন আজমিরীগঞ্জ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন এবং বাকী ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে উসমানী মেডিক্যাল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে মোতাহের হোসেন এর ভাই দামপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল করিম জানান, মূলত পূর্ব শত্রুতার জেরে এই সংঘর্ষ। তবে ৪ দিন আগে মন্নানপুর গ্রামের পাশে নদীতে নাধু মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়ার উপর দামপুর গ্রামের সুমন সহ তার সঙ্গে কিছু লোক জন নিয়ে মন্নান পুর গ্রামের সেলিম মিয়ার ইঞ্জিন চালিত ডিঙি নৌকায় উঠে সেলিম সহ ক জন কে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে এ বিষয় নিয়ে (যখমি) সেলিম বাদী হয়ে সুমন সহ ক জনের বিরুদ্ধ শাল্লা থানায় একটি দরখাস্ত ও দেওয়া আছে, মুলত এর জের ধরেই আজ সকল অনুমান ৯টায় সেলিম মিয়ার চাঁচত ভাই ও ভাতিজাদের সাথে সুমন মিয়ার দাদা ইউসুফ গংদের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষেই আহত হয়েছে। আমাদের পক্ষে আহত ১২ জন এর মধ্যে ১১ জনকে শাল্লায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে উসমানী মেডিক্যাল প্রেরণ করা হয় আর ১ জন শাল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
যাযাদি/ এস