নাইক্ষ্যংছড়িতে ১০ম গ্রেড়ের দাবীতে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:২৭

নাইক্ষ্যংছড়ি(বান্দরবান)প্রতিনিধি
ছবি যাযাদি

সারাদেশের কর্মসূচির অংশ হিসেবে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল সহকারী শিক্ষককে যোগ্যতা ও ন্যায্যতার আলোকে  ১০ম  গ্রেড প্রদানের দাবীতে মানববন্ধন ও ইউএনওর মাধ্যমে  প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন শিক্ষকরা।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর)  বেলা সাড়ে ১১ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা । এতে উপজেলায় কর্মরত সকল সহকারী অংশ নেন। এ মানববন্ধনটির আয়োজক ছিলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ১০ম  গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ।

মানববন্ধনের পরপর শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে তার মাধ্যমে অন্তর্বতীকালীন সরকারের  প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে তাদের দাবী-দাওয়া সম্বলিত একটি স্মারকলিপিও প্রদান করেন শিক্ষকরা।

স্মারকলিপি প্রদানকালে শিক্ষকদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন,সহকারী শিক্ষক যথাক্রমে মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম, মাস্টার মিজানুর রহমান,মাস্টার আলাউদ্দিন,মাস্টার শফিকুর রহমান,মাস্টার শাহজাহান,মাস্টার আতিক উল্রাহ,মাস্টার দিদার,মাস্টার আসাদুজ্জামান ও মাস্টার চাইহ্লাঅং চাক ও শিক্ষিকা বুলবুল আক্তার বুলু প্রমূখ।

তারা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন,তাদের  দাবী ১ টাই মাত্র।  তা হলো ১০ম  গ্রেড প্রদানের দাবী পূরণ করা। তারা বর্তমানে ১৩ তম গ্রেডে বেতন পান।

স্নাতক দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষকরা ১০ ম গ্রেড না পেলেও এইচএসসি পাশ করে অনেকে পান ১০ম  গ্রেড।

অথচ দেশের ইউনিয়ন পরিষদ সচিব,উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা,নার্স,পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টরা সবাই পান ১০ম  গ্রাডে। শিক্ষকদের বেলা এতো বৈষম্য কখনও মেনে নেয়া যায় না।

তারা আক্ষেপ করে বলেন, এক দেশে দু'ধারার বেতন কাঠামো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপরীত স্রোতেই থেকে যাচ্ছে। অথচ এ বৈষম্য দূর করতেই ছাত্র-শিক্ষক-শ্রমিক-জনতা আন্দোলন করেই  দেশের পরিবর্তন ঘটান। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সুতারাং তাদের ন্যায্য দাবী যাচাই-বাছাই করে তাদের বিষয়টি কার্যকর করতে তারা দেশের প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অন্যথায় তারা ক্লাসবর্জন সহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।

যাযাদি/এসএস