প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবীতে মানব বন্ধন!

প্রকাশ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৩

লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি
ছবি যাযাদি

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ,র আয়োজনে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবীতে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় মহাসড়কের পাশে দাড়িয়ে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকরা এ মানব বন্ধন করেন। মানব বন্ধনে বক্তব্য পেশ করেন,  ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ,র সমন্বয়ক মাষ্টার মু.আবছার উদদীন, শাহাদাত হোসেন সোহেল, আতাউল্লাহ মু. সেলিম, রিদওয়ানুল হক, জাবের মো. সোহেল, মো.মনজুর আলম,এনামুল হক, রুপন বড়ুয়া,জুয়েল দাশ ও লায়লা বিলকিস প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ যোগ্যতা: স্নাতক সমমান (২য় বিভাগ) বেতন গ্রেড। ১৩তম, যেখানে অষ্টম শ্রেণি পাস ড্রাইভার ভাইদের বেতন গ্রেড ১২তম। সমযোগ্যতা সম্পন্ন অন্যান্য বিভাগে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ যোগ্যতা: স্নাতক সমমান, বেতন গ্রেড: ১০ম। পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ যোগ্যতা। স্নাতক বা সমমান, বেতন গ্রেড: ১০ম উপ-সহকারী কৃষি অফিসার পদে নিয়োগ যোগ্যতা: এসএসসি (৪ বছর কৃষি ডিপ্লোমা), বেতন গ্রেড: ১০ম। নার্সদের নিয়োগ পদে যোগ্যতা: এইচএসসি ( ডিপ্লোমা ইন নার্সিং), যেকন গ্রেড ১০ম, ইউনিয়ন পরিষদ সচিব পদে নিয়োগ যোগ্যতা: আগে ছিল এইচএসসি বর্তমানে স্নাতক সমমান, বেতন গ্রেড ১০ম (সমাধিত) বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে
নিয়োগ যোগ্যতা স্নাতক সমমান, বেতন গ্রেড ১০ম ও ৯ম।

এছাড়া একই ক্যারিকুলাম, একই সিলেবাস ও একই শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে নিয়োগ যোগ্যতা: স্নাতক (দ্বিতীয় শ্রেণি), দেড় বছরের ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন (ডিইনএড)বেতনকোড ১০ ম।

কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (২য় বিভাগ) সমমান হলেও ১০ম গ্রেড পেতে শুধুমাত্র আমলাতান্ত্রিক প্রতিবন্ধকতা।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উন্নত জীবনের স্বপ্নদর্শনে উদ্বুদ্ধ করেন। পড়াশোনা শেষ করে মহৎ পেশার নতুন নিয়োগ পাওয়া একজন সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে মাত্র ১১,০০০/- টাকা বেতন গ্রেডে (১১,০০০+৪৯৫০+১৫০০+২০০) মোট: ১৭,৬৫০/- টাকা পায়। মাসিক এ বেতনে সংকুলান  না হয়ে অনেক ক্ষেত্রে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে হতাশা ও মনঃকষ্ট নিয়ে যাপিত জীবন অতিবাহিত করেন শিক্ষকরা। মাসিক এ যেতনভাতা দিয়ে কখনো উন্নত জীবন মান সম্ভব নয়। আর এই কারণেই মেধাবীরা প্রাথমিকে শিক্ষকতা পেশায় না এসে জন্য পেশায় ছুটছেন উল্লেখ করে তারা বলেন, প্রাথমিকের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যোগ্য ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রাথমিকের শিক্ষকতা পেশায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা আশু প্রয়োজন। স্বাধীনতার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক এবং গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের বেতন স্কেল একই ছিল। ১৯৭৭ সালে প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ৩২৫ টাকা, সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ৩০০ টাকা নির্ধারণ করে সর্বপ্রথম প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি করা হয়। আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা পূর্বের ন্যায় (প্রধান শিক্ষকদের কার্যভার ভাতা প্রদান করে) প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের একই বেতন গ্রেডের যৌক্তিক দাবী দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।

যৌক্তিকতা ও ন্যায্যতার বিবেচনায় একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে পিটিআইসংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের কর্মচারীদের ন্যায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের ন্যায়সংগত দাবি বাস্তবায়নে বৈষম্যবিহীন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের সদয় অনুগ্রহ ও কামনা করেন তারা।

উল্লেখ্য এ দাবীতে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ,র পক্ষ থেকে  গত ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইনামুল হাসানের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।                                      

যাযাদি/এসএস