গৌরীপুরের মোঘল আমলের অতি প্রাচীন পুরাকীর্তি তালিকাভুক্ত করার দাবি

প্রকাশ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:০৫

গৌরীপুর ( ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিশ্ব পর্যটন দিবসে উপজেলায় মোঘল আমলের প্রাচীন নিদর্শন ও ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পুরাকীর্তির তালিকাভুক্ত করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবিতে আলোচনা সভা, র‍্যালি ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালণ করা হয়।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় (কৃষ্ণপুর জমিদারবাড়ি)বর্তমানে গৌরীপুর সরকারী কলেজের প্রাচীন ও মূল ভবনের সামনে ক্রিয়েটিভ এসোসিয়েশন হিস্টোরিক্যাল সোসাইটি এন্ড লাইব্রেরি ও ক্রিয়েটিভ এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে র‍্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিকাল ৪টায় ঐতিহাসিক ধান মহালে ক্রিয়েটিভ সন্ধানী বিজ্ঞান  ও প্রযুক্তি ক্লাবের মিলনায়তনে সংগঠনগুলোর উদ্যোগে ডিসপ্লে ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

র‍্যালি ও মানববন্ধন কর্মসুচীতে বক্তব্য রাখেন দি ইলেক্টোরাল কমিটি ফর বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড কমিটির সহসভাপতি ও  সরকারী টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট এর অবসরপ্রাপ্ত সুপাররিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ক্রিয়েটিভ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন সরকার, সাংবাদিক মো. সাইফুল আলম, সমাজকর্মী মো. সামছুল ইসলাম, সাংবাদিক মো. দিলীপ কুমার দাস, সাংবাদিক সুপক রঞ্জন উকিল,  এসিক ইয়ুথ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ শাহ, মো. রমজান আলী মুক্তি প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ময়মনসিংহের উত্তর জনপদে  রাজা-জমিদারদের স্মৃতি বিজড়িত একটি ঐতিহাসিক উপজেলার নাম হচ্ছে গৌরীপুর  উপজেলা। এখানে রয়েছে মুঘল-সুলতানি ও ইংরেজ আমলের বহু প্রাচীন নিদর্শন, ১২টি জমিদারবাড়ির ইতিহাস ও নিদর্শন, প্রাচীন মসজিদ, ঐতিহাসিক দীঘি, মন্দির, মধ্যযুগের মাজার, দু'টি কেল্লা বা ফোর্টের ধ্বংসাবশেষ ও ইতিহাসখ্যাত ব্যক্তিবর্গের সমাধি। এ ছাড়াও রয়েছে প্রাচীন পূর্ব বাংলার গীতিকার দ্বারা সমৃদ্ধ বীরঙ্গনা সখিনার ইতিহাস ও তার সমাধি, মুঘল আমলের খাজা উসমান খাঁর স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন কেল্লার নিদর্শন। বক্তাদের দাবী উল্লেখিত প্রাচীন স্থাপনাগুলো প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পুরাকীর্তির তালিকাভুক্ত করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হোক।

যাযাদি/ এসএম