বিএনপির সাবেক এমপি শাহজাহান খানের হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:৫২

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা উপজেলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান খানের ওপর হামলা ও পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার রাতে নিহত শাহজাহান খানের বড় ছেলে পটুয়াখালী জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শিপলু খান বাদী হয়ে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীরসহ ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করে। এ মামলায় আরও ১শ থেকে দেড়শ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। পটুয়াখালী সদর থানা মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে অফিসার ইনচার্জ মো. জসিম নিশ্চিত করেছেন। 

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় মহা সমাবেশে মটরসাইকেল যোগে যাওয়ার পথে শাহজাহান খান ও তার সাথে থাকা নেতকর্মীদের ওপর সদর উপজেলার পটুয়াখালী-বরিশাল মহা সড়কের শিয়ালী এলাকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে মারধর এবং মটরাইকেল ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত শাহজাহান খান অসুস্থ হয়ে পড়লে ২৮ নভেম্বর সকালে ঢাকা ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।  

মামলার বাদী মোঃ শিপুল খান বলেন, ‘আমার বাবাকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ পরিকল্পিতভাবে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করেছে। আমরা বাবা একজন সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। এই শহরে সিনিয়র সিটিজেনদের কোন সময় গায়ে হাত দেয়া তো দূরের কথা কাউকে অসন্মান করার ঘটনাও ঘটেনি। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী আলমগীর আমার বাবার উপর হামলা করিয়ে নির্যাতন চালিয়ে এক অপরাজনীতি শুরু করে। আমার বাবা রাজনীতির পাশপাশি তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন, এই শহরে অনেক সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন। তিনি জনগণের সেবায় অমৃত্যু কাজ করে গেছেন। তাকে মারধর করে আওয়ামী লীগ নেতারা ঠিক ভাবে চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে দেয়নি। আমি আসামীদের নাম উল্লেখ সহ মামলা দায়ের করেছি। আশা করছি আমি আমার পিতার হত্যার সঠিক বিচার পাবো।

পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জসিম বলেন, ‘শিপুল খানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে। 

যাযাদি/ এসএম