বরগুনার পাথরঘাটায় পৈতৃক সম্পত্তিতে চাষাবাদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে সোলায়মান নামে এক যুবক। এ ঘটনার মাস্টার মাইন্ড বাংলাদেশ পুলিশ ঢাকা হেডকোয়ার্টার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ সাগর। ২৬ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বেলা সাড়ে ১১টার সময় পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে প্রায় দুই শতাধিক বাসিন্দারা মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী সোলায়মান উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মৃত্যু খলিলুর রহমানের ছেলে। অভিযুক্তরা হলো একই ওয়ার্ডের চুন্নু মিয়া, তার ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা সাগর, ফোরকান সহ হাসিব, সজিব ও অপু।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী চামেলী, চাম্পা, জামাল, সোনা মিয়া ও হানিফা প্রমুখ।
প্রতক্ষ্যদর্শী সাগরের চাচি জেসমিন বেগম জানান, বুধবার দুপুরে সোলায়মান ধান ক্ষেতে চাষাবাদ করতে গেলে চুন্নু, ফোরকান, হাসিব, সজিব ও অপু সহ বেশ কয়েকজন মিলে সোলায়মানকে লোহার পাইপ হাতুড়ি দিয়ে মারধর করে ক্ষেতের পানির মধ্যে ফেলে রাখে। আরেক প্রতক্ষ্যদর্শী সোনা মিয়া জানান, সোলায়মানকে মারধর করা দেখে আমরা স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এসময় ফোরকান, হাসিব, সজিব সহ অন্যরা লোহার পাইপ হাতুড়ি নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
সোলায়মান এর বড় বোন চামেলী বলেন, চলতি মাসের ৭ তারিখ আমার বাবা বজ্রপাতে মারা যায়। শোক কাটিয়ে উঠে বুধবার দুপুরে ক্ষেতে বিজ রোপণ করতে গেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার কর্মরত সাগরের ইন্দনে তার বাবা, ভাই ও ভাইপোরা মিলে আমার ভাইয়ের উপর হামলা চালায়। বর্তমানে আমার ভাই বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমি আমার ভাইয়ের উপর হামলাকারীদের বিচার চাই।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, আ'লীগ সরকারের আমলে পুলিশের চাকরিতে ছাত্রলীগের সুপারিশে চাকরি পায় সাগর। এর পর বছর ঘুরতেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয় এ পরিবার। সাগরে ইন্ধনে আ'লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তারা। এ বিষয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টারেও অভিযোগ করা হয়েছে।
মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে অভিযুক্ত চুন্নু মিয়া জানান, বুধবার দুপুরে সোলায়মানের সাথে হাতাহাতি ঘটনা ঘটেছে। মুলত খলিলুর রহমান জীবিত অবস্থায় তার সাথে জমি মৌখিকভাবে এওয়াজ বদল করা হয়েছে। কিন্তু খলিলুর রহমানের ছেলে মেয়েরা এগুলো মানতে রাজি নয়। এনিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছে।
তবে পুলিশ কর্মকর্তা সাগর বলেন, আমি পুলিশ চাকরি করে পরিবার নিয়ে ভালো আছি। এগুলোর দেখে এলাকাবাসীর হিংসা হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এবিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ আল মামুন জানান, মারধরের খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা করা হবে।
যাযাদি/এসএস