কলমাকান্দায় অ-চাষকৃত খাদ্য প্রদর্শনী মেলা

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:১০

কলমাকান্দা (নেত্রকোণা)প্রতিনিধি
ছবি যাযাদি

নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার চন্দ্রডিঙ্গা গ্রামে  বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এর সহযোগিতায় চন্দ্রডিঙ্গা বাঁধরক্ষা কমিটির উদ্যোগে অচাষকৃত খাদ্য প্রদর্শণী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় মোট ১০টি স্টলে বৈচিত্র্যময় ৪৬টি অচাষকৃত খাদ্য প্রদর্শীত হয়। যেমন- আনথামবুড়ি, চংগী, ঢেঁকিশাক, ঘুঘুচেলেং, মিখ্রিম, পাহাড়ী লতা, পাহাড়ী কচু, থানকুনি, স্রাবনচি, ফাওয়াঙ্গা, আলত, রংখামমিত্তিক, গংমিন্ট্রি, হেলঞ্চোশাক, শাপলা লতা, কলমীশাক, খানতাপ, গানজেত, আমবুলজেং, মিব্রাম, খারিকা, গন্ধরানী, মিগং, গারাদেক, খাকুছি, সেরেংখি, তিত বেগুন, বড় তিত বেগুন, গন্ধপাতা, স্নেথেং, বাঁশ কুড়ল, কচুরিপানা, সামখুচক, মিবিচ্রি, নাদাংখিমি, গারো গয়না, বালুকাজাই, শামুক, লম্বা শামুক, আফলকা, বেতডুগা, শারাত, তরুয়া, হাতিভাগাপাতা, বন আলু, গিমাতিং, বন মাসরুম। (এখানে অধিকাংশ অচাষকৃত খাদ্য গারো-হাজং আদিবাসীদে ভাষায় নামকরণকৃত। আর এগুলোর বাংলা কি নাম তা সনাক্ত করা সম্ভবয় হয়নি)।

প্রদর্শনী মেলায় আল্পনা নাফাক এর সঞ্চালনায় একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সুনীল ম্রং, সভাপতি, বাধ রক্ষা কমিটি, প্রধান অতিথি জনাব মো: আলহাজ্ব আলী, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। অচাষকৃত খাদ্য প্রদর্শনী মেলার লক্ষ্য উদ্দেশ্য তুলে ধরেন গুঞ্জন রেমা উপজেলা সমন্বয়কারী বারসিক। সভায় বক্তব্য রাখেন, মো: আলহাজ্ব আলী উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, সুনীল ম্রং, সভাপতি বাধ রক্ষা কমিটি, গ্রেগরী ম্রং, নেমশিলা চিসিক, আব্দুর রাজ্জাক, মো: মালেক, জিতেন্দ্র হাজং প্রমূখ। বক্তাগণ  অচাষকৃত খাদ্য সমূহ সংরক্ষণের জন্য প্রদর্শনী বাগান করার জন্য প্রস্তাব দেন এবং অচাষকৃত খাদ্যের গুণাগুণ সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং অচাষকৃত খাদ্য ভান্ডার সুরক্ষিত রাখার জন্য আহবান জানান।
 


যাযাদি/এসএস