ভোলা-বরিশাল ব্রীজ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবার উন্নয়নসহ ৫ দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:০৪

স্টাফ রিপোর্টার, ভোলা
ছবি : যায়যায়দিন

ভোলা-বরিশাল ব্রীজ দ্রুত নির্মান, উন্নত চিকিৎসা সেবার জন্য ভোলায় মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা, ঘরে গ্যাস সংযোগ, সার কারখানাসহ ভোলায় ইপিজেড গড়ে তোলা ও শহরের যানজট নিরসনে পার্কিং ব্যবস্থার দাবীতে ভোলা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও জেলা প্রশাসক মোঃ আজাদ জাহানের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন ভোলা নাগরিক অধিকার ফোরামের নেতৃবৃন্দ। বুধবার বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভোলা নাগরিক অধিকার ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা ও দৈনিক আজকের ভোলা সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ শওকাত হোসেন, উপদেষ্টা সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট নাছির আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক ও দুদকের পিপি এডভোকেট সাহাদাত হোসেন শাহিন, উপদেষ্টা এডভোকেট মো: ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক মীর নুরে আলম ফরহাদ, নির্বাহী সদস্য ও বিবার নির্বাহী পরিচালক প্রভাষক মোঃ মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক ও দৈনিক আজকের ভোলার সহযোগী সম্পাদক এম শাহরিয়ার ঝিলন, নির্বাহী সদস্য ও আজকের ভোলা রিপোর্টার মোঃ বেল্লাল নাফিজ প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে তারা জানান, দ্বীপজেলা ভোলার ৩দিকে নদী, ১ দিকে সাগর মোহনা অবস্থিত। যার ফলে ভোলা জেলা দেশের মূল ভ‚-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। এই জেলায় রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ। 

এখানে রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস ভান্ডার। গ্যাস দিয়ে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ভোলার চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় গ্রীডে দেওয়া হচ্ছে। সিংহভাগ ইলিশ এই জেলার নদী ও সাগর থেকে উৎপাদন হচ্ছে। এছাড়াও এখানে উৎপাদিত ধান, সবজি, তরমুজ, সুপারী, দধি ভোলার চাহিদা মিটিয়ে দেশ ও বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। ভোলা এতো স¤পদে ভরপুর থাকলে এই জেলার মানুষ উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বিগত দিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় উন্নয়ন হলেও ভোলা স¤পূর্ণ অবহেলিত। দেশের মূল ভূ-খন্ডের সাথে এই জেলার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। জরুরী প্রয়োজনে লঞ্চযোগে যেতে হয় ঢাকা, বরিশালসহ বিভিন্ন জায়গায়। সন্ধ্যা ৮টার পর জরুরি প্রয়োজনে ভোলার বাহিরে যাওয়া অসম্ভব। বিশেষ করে মুমূর্ষু রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা-বরিশাল নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

জেলায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থাকলেও অবস্থা খুবই নাজুক। এখানে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স ও স্টাফ নেই। চিকিৎসা যন্ত্রপাতিরও রয়েছে বিশাল সংকট। যার ফলে এখানে চিকিৎসা করানো খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে। এছাড়াও ভোলা শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়নে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খুবই প্রয়োজন।

ভোলায় পর্যাপ্ত গ্যাস মজুদ থাকা সত্তে¡ও ভোলার মানুষ গ্যাসের ব্যবহার থেকে বঞ্চিত। বিগত সরকারের সময় ভোলা পৌর এলাকায় ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দিতে ৫০ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসিয়ে পাইপলাইন থেকে ২৫০০ পরিবারকে সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু একটি চক্রান্তে ভোলার ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়ে ভোলাবাসী। এছাড়াও ভোলার গ্যাস দিয়ে এই জেলায় বিশেষ শিল্পাঞ্চল করে এখানে শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার যৌক্তিক দাবি করেন নেতৃবৃন্দ।

যৌক্তিক দাবি গুলো হচ্ছে:
১। ভোলা-বরিশাল ব্রীজ দ্রুত নির্মান কাজ শুরু করে দেশের মূল ভ‚-খন্ডের সাথে ভোলাকে সযোগ করতে করতে হবে।
২। ভোলাবাসীর উন্নত চিকিৎসা সেবার জন্য ভোলায় মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৩। ভোলার প্রতিটি ঘরে গ্যাস সংযোগ দিতে হবে।
৪। বৃহৎ সার কারখানাসহ ভোলায় ইপিজেড গড়ে তুলতে হবে।
৫। ভোলা শহরের যানজট নিরসনে পার্কিং ব্যবস্থা করে যানজটের দুর্ভোগ লাগব করতে হবে।
আমরা আশা করি সরকার ভোলাবাসীর এই প্রাণের যৌক্তিক দাবী অতিদ্রুত মেনে নিয়ে বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

যাযাদি/ এম