মনোহরগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক সেচ্ছাশ্রমে মেরামত

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:০২

মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
ছবি যাযাদি

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে সেচ্ছাশ্রমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন সড়ক মেরামত করছেন এলাকার যুবকরা। উপজেলা সদর থেকে মনোহরগঞ্জ-লাকসাম সড়ক, খিলা-মনোহরগঞ্জ সড়ক, লালচাঁদপুর-বেরনাইয়া সড়ক, শাহশরীফ ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে বন্যার ক্ষতচিহ্ন ভরাট করে যানচলাচল উপযোগী করতে স্থানীয় যুবকদের উদ্যোগে চলছে মেরামতের কাজ। যুবকদের শ্রম ঘামে একদিকে ভরাট হচ্ছে সড়কের ক্ষতচিহ্ন অন্যদিকে কমছে জনদুর্ভোগ। এসব সড়কে যান চলাচলে কিছুটা স্বস্থির কথা জানিয়েছেন যাত্রী ও পথচারিরা।
                                   
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার প্রধান সড়ক মনোহরগঞ্জ-লাকসাম  সড়কের আশিরপাড় পর্যন্ত বিভিন্নস্থানে বন্যার পানিতে তৈরী হওয়া গর্ত ভরাটের কাজ করছেন এলাকার স্থানীয় যুবকরা। সেচ্ছাশ্রমে কাজ করা স্থানীয় হাসান পাটোয়ারীসহ সড়ক মেরামতের কাজে নিয়োজিত যুবকদের সাথে কথা হলে তারা জানান কুমিল্লা (দঃ) জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মাসুদুল আলম বাচ্চু’র নির্দেশনায় সড়কটির মনোহরগঞ্জ থেকে আশিরপাড় পর্যন্ত  প্রায় আড়াই কি.মি. জায়গায় অন্ততঃ অর্ধশতাধিক স্পটে তৈরী হওয়া বড়বড় গর্ত ইটের খোয়া দিয়ে ভরাট করে যান চলাচল উপযোগী করে তোলা হয়। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
                                    
এ বিষয়ে কথা হলে কুমিল্লা (দঃ) জেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক মাসুদুল আলম বাচ্চু বলেন, বন্যার পানি নামার সাথে সাথে সড়কের বিভিন্নস্থানে ভেসে উঠেছে ক্ষতচিহ্ন। সড়কটির মনোহরগঞ্জ থেকে আশিরপাড় পর্যন্ত বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। যাত্রী ও পথচারি চলাচলে বিঘœ ঘটছে জেনে সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান তিনি। জনদুর্ভোগ লাগবে সেচ্ছাশ্রমে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে সড়কটি মেরামতের কাজ করার কথা জানান তিনি।
                                     
উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহ আলম সেচ্ছাশ্রমে সড়ক মেরামতে কাজ করা যুবকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন বন্যার পানিতে উপজেলার প্রায় ২শ ৪ কি.মি. সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ এসব সড়কের তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অধিক ক্ষতিগ্রস্থ সড়কগুলো যান চলাচল উপযোগী করতে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
                                     
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা যুবকদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন মনোহরগঞ্জে এমন কোন সড়ক নেই যেটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। বন্যার পানি মাত্র সড়ক থেকে নেমেছে, এতেই ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক এখনো পানির নিচে। সরকারি বরাদ্ধের পাশাপাশি সড়ক মেরামতে যুবকদের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয় উল্লেখ করে তিনি বন্যার এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এ জনপদের বাসিন্দাদের উপজেলা প্রশাসনের সাথে থাকার আহবান জানান ।
 

 

যাযাদি/এসএস