বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১

শেরপুরে হাজতখানা থেকে পালালো রিমান্ডের আসামি 

শেরপুর জেলা প্রতিনিধি
  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৭
ছবি: যায়যায়দিন

শেরপুরে আদালতের হাজতখানা থেকে পালিয়েছে চাঞ্চল্যকর জাল টাকার মামলার রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া রাজু আহমেদ (২৫) নামে এক আসামি।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা জজ ভবনের নিচে থাকা হাজতখানায় ওই ঘটনা ঘটে। পালিয়ে যাওয়া রাজু আহমেদ নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে। খবর পেয়ে বিকেলেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এদিকে ওই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য হাজতখানার ইনচার্জসহ ৩ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশে লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নবাগত কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান জানান, ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে যাওয়া আসামি রাজু আহমেদকে আটক করতে চেষ্টা চলছে। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার জন্য হাজতখানার ইনচার্জসহ ৩ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশে লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঝিনাইগাতী উপজেলার ফুলহাড়ি ও বাকাকুড়া এলাকায় জাল টাকায় কেনাকাটা করার সময় হাতেনাতে ধৃত হয় পলাতক রাজু আহমেদসহ নালিতাবাড়ী উপজেলার পশ্চিম গুগড়াকান্দি গ্রামের শহিজ উদ্দিন আহালুর ছেলে মো. শাহিন (২৭) ও নকলা উপজেলার ভুরদী গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন বাবু (৬৫)। ওই ঘটনায় ঝিনাইগাতী থানায় জাল টাকা হেফাজতে রাখা ও কারবারের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলা রুজু হয়।

ওই মামলায় মঙ্গলবার বিকেলে ঝিনাইগাতী জিআর আমলী আদালতে তদন্ত কর্মকর্তার ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে প্রত্যেক আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভপর্ণা চন্দ। পরে বিকেল ৪টার দিকে ওই ৩ আসামিকে আদালত থেকে কোর্ট হাজতখানায় নিয়ে যান কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা। এর কিছুক্ষণ পরই রাজু ও শাহিন কৌশলে পালালে আদালত অঙ্গনেই আটক হয় শাহিন।

এ ব্যাপারে নবাগত কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান জানান, রিমান্ড শুনানীর পর ৩ জনকেই হাজতখানায় নিয়ে আসা হয়। এর কিছুক্ষণ পর বয়স্ক আসামি আনোয়ার হোসেন বাবু অসুস্থতার কথা জানালে হাজতখানার দরজার তালা খুলে তার সাথে হাজত ইনচার্জ এসআই আব্দুল বারী কথা বলতে গেলে ওই সুযোগে রাজু আহমেদ ও শাহিন নামে দুজন হাজতখানা থেকে দৌড়ে পালায়। এক পর্যায়ে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা জনতার সহায়তায় তাৎক্ষণিক শাহিনকে আটক করতে পারলেও রাজু আহমেদ পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে