বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। কিন্তু স্বৈরাচারের কিছু প্রেতাত্মারা এখনো দেশে রয়ে গেছে। জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজ করতে গিয়ে এমন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব যেন না হয় যাতে করে স্বৈরাচার আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র করার সুযোগ না পায়।
স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা বসে নেই, তারা তাদের ষড়যন্ত্রকে অব্যাহত রেখেছে। তাই গণতন্ত্রের পক্ষে সব মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব নয়। এজন্য দরকার ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জুলাইয়ে বিপ্লব করেছে। আর সে সময় অসংখ্য ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছে। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
স্বৈরাচার হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে কিশোরগঞ্জ জেলায় নিহত ১৭ ও অঙ্গহানি হওয়া ১৬ জন মানুষকে সহায়তা উপলক্ষে আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে কিশোরগঞ্জের পুরাতন স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক গণসমাবেশে তিনি ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, হাজারো মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বর্তমান বাংলাদেশকে পেয়েছি। তাঁদের আত্মত্যাগকে ধরে রাখতে হবে, এই আত্মত্যাগের মূল্য আমাদেরকে দিতে হবে। তিনি বলেন, স্বৈরাচারের পতন হয়েছে বলেই সকল বিপদ কেটে যায়নি। এখনো বিপদ আছে। তাই এই সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হলেই সব কিছু হয়ে যায় না। বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামের জয়যুক্ত হতে হবে। আমরা যদি সঠিক মানুষের হাতে এই দেশ এবং জাতি নেতৃত্ব তুলে দিতে পারি, এদেশের মানুষকে সুযোগ দিতে পারি, তাহলে এই সঠিক ব্যক্তিরা জাতিকে সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারবে।
বক্তবের শেষ দিকে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। আমরা চাই সকলকে নিয়ে এই দেশকে পুর্ণগঠন করতে।
জেলার ১৩ উপজেলা থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ গণসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
যাযাদি/ এম