মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১

মুজিব বর্ষের লোগা ব্যবহার করে অফিস আদেশ জারী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের!

পাবনা প্রতিনিধি
  ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭
ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর যখন চারিদিকে শেখ পরিবারের ছবিসহ কিছু মুছে ফেলা হচ্ছে। দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে দেশ পরিচালিত হলেও আওয়ামী লীগের আর্শিবাদপুষ্ঠ পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল আউয়াল বহাল তবিয়তে তৎকালীন সরকারের মুজিববর্ষের লোগোসহ নানা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যায়নরত দুইজন ছাত্রী কলেজের একজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে কলেজ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ উত্থাপন করেন। অভিযোগ তদন্তের জন্য কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল আউয়াল ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ জারী করেন। ওই আদেশে ছাত্রীদের অভিযোগ তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। ওই কমিটির আহবায়ক হলেন একই কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর রওশন আখতার বানু। অন্য দুই সদস্য হলেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর মো. মাহবুব হাসান ও বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আব্দুল আউয়ালের স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে মুজিব বর্ষের লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। ৫ আগস্টের আগে ও পরে তিনি গোপনে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ ঘরনার একাধিক নেতাকর্মিদের সাথে গোপন বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে উপাধ্যক্ষ নিয়োগ লাভের সাথে সাথে তিনি পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) আসনের সে সময়ের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি আর্শিবাদ নিতে তার বাসভবনে গিয়েছিলেলন। ওই সময়ে এই প্রতিষ্ঠানের আলোচিত-সমালোচিত শিক্ষক ও নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের হোতা খন্দকার সিরাজুল ইসলাম মুরাদও উপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচিত হয়েছে।

একাধিক সচেতন শিক্ষকসহ জেলা সদরের সচেতন নাগরিক দাবি করেন, দলীয় প্রীতি নিয়ে কোন শিক্ষক প্রকাশ্য এমন কর্মকান্ড প্রচার করছেন কোন ক্ষমতার বলে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দেশ পরিচালনাকালে মুজিব বর্ষের লোগো ব্যবহার করে এ কোন ক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। ইতোপূর্বেও তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ প্রীতির নানা অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী সচেতন মহলের।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল আউয়াল বলেন, বিষয়টি যথেষ্ট স্পর্শকাতর। কিভাবে মুজিববর্ষের লোগো ব্যবহার করা হয়েছে আমি জানি না। তিনি স্বাক্ষর করেছেন ওই আদেশে এটা স্বীকার করে বলেন, সব সময় সব কাগজ দেখার সুযোগ থাকে না। হয়তো অফিস ভুল করেছে। বিষয়টি আমি সংশোধন করে দিচ্ছি।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে