কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় আন্তর্জাতিক উপকূল পরিচ্ছন্নতা দিবস উপলক্ষে সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার বিকেল তিনটায় ইউএসএআইডি’র ইকোফিশ-২ প্রকল্পের আয়োজনে একটি র্যালি বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বড়ঘোপ সৈকত পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন।
পরে,বড়ঘোপ এল.এফ.সি.সি.অফিসে আলোচনা সভায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য সম্পদের ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ইকোফিশ-২ প্রকল্পটির রিসার্স এসোসিয়েট মোঃ সুলতান মাহমুদ। এছাড়া, সামুদ্রিক দূষণের ঝুঁকি, বিশেষ করে প্লাস্টিক বর্জ্যের ক্ষতিকারক দিকগুলো নিয়ে বক্তব্য রাখেন মেরিন ফিশারিজ অফিসার নাজমুস সাকিব।
বক্তরা বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ, প্রায় ৩.৫ কোটি মানুষ সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করেন।ইউএসএআইডি’র ইকোফিশ-২ প্রকল্পটি সমুদ্র সৈকতে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জীবন ও জীবিকার সহায়তার জন্য কাজ করছে। এরমধ্যে কক্সবাজার সদর, উখিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, কলাপাড়া এবং চরফ্যাশন উপজেলাসহ দেশের মোট দশটি স্থানে ১৪০ জন ব্লু গার্ডকে (স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক) সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তারা। এসকল স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকগণ মাসে দুইবার সমুদ্র তীর থেকে প্লাস্টিক, ছেঁড়া জালসহ সমুদ্রের জন্য ক্ষতিকারক বর্জ্য ও আবর্জনা সংগ্রহের পাশাপাশি সমুদ্র থেকে মাছ আহরণ শেষে ফিরতি নৌকা থেকেও আবর্জনা সংগ্রহ করা হয় বলে মন্তব্য করেন।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ব্লু গার্ড, সিটিজেন সায়েন্টিস্ট, ল্যান্ডিং সেন্টারভিত্তিক মৎস্য সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় স্টেকহোল্ডার, ইকোফিশ-২ টিমের সদস্যসহ স্থানীয় মৎস্যজীবীরা।
যাযাদি/ এসএম