শাজাহানপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী সাগরসহ ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:১২ | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:১৪

শাজাহানপুর (বগুড়া)  প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

বগুড়ার শাজাহানপুর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও উপজেলার শীর্ষ  সন্ত্রাসী সাগর হোসেন তালুকদার (৩৫) ও তার সহযোগী স্বপনকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় মুক্তার হোসেন (৩০) নামে তার আরেক সহযোগীর ডান হাতের কবজি বিছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। তারা সকলেই ৬টি হত্যাসহ প্রায় ডজন খানেক মামলার আসামি।
 
রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের সাবরুল ছোট মন্ডলপাড়া এলাকায় এ জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত সাগর হোসেন সাবরুল বাজার এলাকার গোলাম মোস্তফা তালুকদারের ছেলে। তার সহযোগী স্বপন সাবরুল তালুকদার পাড়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে। আর কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া সাগরের সহযোগী মুক্তার হোসেন একই গ্রামের আনসার আলীর ছেলে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ জানায়, সাগর ও তার সহযোগীরা হত্যাসহ অন্তত এক ডজন মামলার আসামি। 

স্থানীয়রা জানায়, সাবরুল ছোট মন্ডলপাড়া এলাকায় সহযোগীদের নিয়ে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিল সাগর। পরে সাগর, স্বপন ও মুক্তারসহ কয়েকজন মন্ডলপাড়ার একটি মুরগির খামারের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় মোটরসাইকেলে আসা একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে সাগর ও তার দুই সহযোগীকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই সাগর ও স্বপন নিহত হয়। আর মুক্তারের ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। তাকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার জিদান আল মুসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুর রশিদসহ জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

 অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুর রশিদ বলেন, ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী সাগর ও তার এক সহযোগী প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়। তবে হামলাকারীদের এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সাগর ও তার সহযোগীরা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।’ 

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ‘পূর্ববিরোধের জের ধরে জোড়া খুনের এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শাবরুল বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার ছত্রচ্ছায়ায় শাজাহানপুর, নন্দীগ্রাম ও কাহালু উপজেলার আশপাশে অন্তত ৩০ গ্রামে তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।  বাড়ি নির্মাণ, জমি কেনা থেকে ব্যবসা সব কিছুতেই চাঁদা দিতে হতো সাগর ও তার সিন্ডিকেটকে। তার অর্ধশতাধিক সদস্যের একটি বাহিনী আছে।  যাদের একনামে চিনতো সাগর বাহিনী।

যাযাদি/ এসএম