সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১

শ্রীমঙ্গলে দ্বারিকা পাল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ 

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫২
ছবি: যায়যায়দিন

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের দ্বারিকা পাল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মনসুরুল হকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা শহরে মিছিল করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে প্রায় সাড়ে ৫টা পর্যন্ত শহরের চৌমুহনায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ তুলে দ্বারিকা পাল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মনসুরুল হকের পদত্যাগের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় শহরের প্রাণ কেন্দ্র চৌমুহনা চত্বরে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করে সাধারণ জনতা অংশ নিলে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে দু ঘণ্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে পথচারীসহ যানবাহনের যাত্রীরা পড়েন চরম দুর্ভোগে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করার পর যান চলাচল স্বভাবিক হয়।

এসময় আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আবু তালেব। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। আবার কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আরেকটি স্মারকলিপি পেয়েছি। আপনাদের স্মারকলিপিতে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। কলেজ শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপিতে তারা বলেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বহিরাগত শিক্ষার্থীরা ষড়যন্ত্র করে অধ্যক্ষের অপসারণ চাচ্ছে। তাই বিষয়টি যেনো তদন্ত করি। আমি দুইটি স্মারকলিপি আমার ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করেছি।

এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শাহাদত হোসেন আকাশ বলেন, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কলেজের অধ্যক্ষ মনসুরুল হক গত ১৫ জুলাই থেকে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি প্রকাশ্যে আন্দোলনের বিরোধিতা করেন এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের পথে বাধা সৃষ্টি করেন। একজন শিক্ষক হয়ে কিভাবে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের উপর হামলার নির্দেশনা দেন। তিনি গত ৩ ও ৪ আগস্ট শ্রীমঙ্গলের চৌমুহনা চত্বরে আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী শাসনের পক্ষে অবস্থান নেন এবং শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কাউন্সিলর মোঃ আব্দুল জব্বার আজাদ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ মনসুরুল হক তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে কলেজ ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগের শাসন ব্যবস্থা প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ওপর বৈষম্যমূলক আচরণ চালিয়ে আসছেন। ৫ আগস্টের পরও তিনি তার স্বপদে বহাল থেকে আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী মনোভাবের অংশ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে