বিশ্বসেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায় স্থান পেয়েছেন ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগর ইউনিয়নের কেওতা ঘিগড়ার বাসিন্দা, বরিশাল জজ কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী আবুল বাশার এর পুত্র এবং জাতিসংঘের ফেলো ইউশা আরাফ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিষয়ক প্রকাশনা সংস্থা 'এলসেভিয়ার'-এর যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত গবেষণা জরিপে এই তালিকা প্রকাশিত হয়।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এই তালিকায়, প্রথমবারের মতো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কোনো শিক্ষার্থী হিসেবে ইউশা আরাফের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।
একই সঙ্গে, তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) থেকেও এই সম্মান অর্জনকারী প্রথম শিক্ষার্থী। তিনি নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োমেডিকেল সায়েন্সে পিএইচডি শুরু করবেন আগামী নভেম্বর মাসে।
মাত্র ২৫ বছর বয়সে ইউশা আরাফের নামের পাশে রয়েছে ৭০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রবন্ধ এবং ২,২৭১টি সাইটেশন, যা তার বয়সের জন্য একটি বিরল এবং অসাধারণ সাফল্য হিসেবে বিবেচিত। এ
ই সাফল্যের কারণে, মাইক্রোবায়োলজি শাখার ২,০৪,৭৫৯ জন গবেষকের মধ্যে তিনি ৩,৪৮৪তম অবস্থানে রয়েছেন। বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীদের কাতারে এত অল্প বয়সে নিজের নাম প্রতিষ্ঠিত করা নিঃসন্দেহে একটি অনন্য অর্জন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে ইউশা আরাফ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে তার পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন।
উল্লেখ্য, তিনি প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক দপ্তরে ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন, যেখানে তার বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং অবদান আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
তার এই কৃতিত্বে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু, এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। সবাই তার অসাধারণ সাফল্যকে অভিনন্দিত করছেন।
বাংলাদেশের মোট ২০৫ জন পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন, যেখানে ইউশা আরাফের স্থান তার পরিবারের পাশাপাশি গোটা দেশের জন্যও গৌরবের বিষয়।
যাযাদি/ এম