নারায়ণগঞ্জে চাঞ্জল্যকর মা ও ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে হত্যা মামলায় এক মাত্র আসামী আল জুবায়ের স্বপ্নীলকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। হত্যাকারী পাগলের রুপ ধরেও শেষ রক্ষা হলো না তার।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা এই রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আল জুবায়ের স্বপ্নীল নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া এলাকার লবণ ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনের ছেলে।

রায় ঘোষণার পর মামলার বাদী নিহত রুমা চক্রবর্তী স্বামী ও রিতু চক্রবর্তীত বাবা রাম প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, আমি এই রায়ে সন্তুষ্ট। এখন মাননীয় আইন উপদেষ্টার কাছে আমার একটাই আবেদন, এই রায় যাতে দ্রুত কার্যকর করা হয়। এসময় কান্নায় ভেঙে পরেন রাম প্রসাদ।

নারায়ণগঞ্জ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও আদালতের অতিরিক্ত পিপি আব্দুর রহিম বলেন, এই ঘটনায় রাষ্ট্রপক্ষ ২২ জন সাক্ষী আদালতে উপস্থিত করছে। সাক্ষী এবং তদন্তের ভিত্তিতে মাননীয় আদালত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড সাজা প্রদান করেন।

এ মামলায় আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবি হিসাবে

ছিলেন অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দত্ত বাপ্পী, অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন। আর আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১ মার্চ বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জ ডালপট্টি এলাকায় স্বপন দাসের মালিকানাধীন মাতৃসদন নামে একটি ৬ তলা ভবনের ৬ষ্ঠ তলার রামপ্রসাদের ফ্ল্যাটবাসায় মা ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

ঘটনাস্থল থেকেই রক্তমাখা ধারালো ছুরিসহ হাতে গ্ল্যাভস পরিহিত অবস্থায় আল জুবায়ের স্বপ্নীলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আলোচিত সেই মা ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে হত্যার ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) এএইচএম কামরুজ্জামান ফারুক। অভিযোগপত্রে একমাত্র আসামী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতারকৃত আল জুবায়েদ স্বপ্নীলকে। অভিযোগপত্রে সাক্ষী দেখানো হয় ৩০ জনকে।

নারায়ণগঞ্জ আদালতের পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ মা ও মেয়ে হত্যা মামলার রায়ের বিষয় সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

যাযাদি/ এম