রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১

ই-টিকিটিং বন্ধে গণপরিবহনে আবারো ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য

বিশেষ প্রতিনিধি
  ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৫০
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে গণপরিবহনে ই-টিকেটিং সেবা বন্ধ করায় যাত্রীদের কাছ থেকে ‘ইচ্ছেমত’ ভাড়া নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাস মালিকের বিরুদ্ধে।

গণপরিবহনে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য বন্ধ করতে এবং এই খাতকে সুশৃঙ্খল করতে ২০২২ সালে শুরু হয় ই-টিকিটিং কার্যক্রম। যার মাধ্যমে সঠিক ভাড়া নির্ধারণ ও স্বচ্ছতা আনায়ন সম্ভব হওয়ায় গণপরিবহন ব্যবহারকারীদের ভোগান্তি অনেকটাই দূর হয়।

সম্প্রতি ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির বিগত কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় ফলে নতুন কমিটি এর দায়িত্ব নেয়ার পরে ই-টিকিটিং কার্যক্রম বর্তমানে পুরোপুরিভাবে বন্ধ রয়েছে। গণপরিবহনে ভাড়া নিয়ে পুরনো অরাজকতা আবার ফিরে এসেছে।

মালিক সমিতির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ই-টিকেটিং নিয়ে বাস মালিকদের মাঝে কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে হেলপাররা ডিজিটাল মেশিন ব্যবহার করতে অনীহা দেখায়। সব কিছুর পেছনে ব্যক্তিগত সুবিধা কম পাওয়া যায় বলে এই সেবা বন্ধ করা হয়েছে।

জানা গেছে, যাত্রীদের হাতে প্রদানকৃত টাকার সমপরিমাণ উল্লেখিত সঠিক টিকিট না দিয়েই আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া, এবং ই-টিকিটিং সিস্টেম বন্ধের সাথে বন্ধ হয়ে যায় নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে যাত্রী উঠানোর ব্যবস্থাও।

দেশের সকল সেক্টরে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হলেও সড়ক পরিবহণখাতে সংস্কারে ‘তেমন কোন’ উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। পথে থামানো এবং ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী উঠানোর মত অনিয়ম আবারো দেখা যাচ্ছে।

বনশ্রীর হাবিবুর রহমান নামে একজন বেসরকারি কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, যাত্রীদের বসার স্থান ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। বাড়তি ভাড়া আদায় এবং এসব অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করায় কন্ডাক্টর ও হেল্পারদের সাথে যাত্রীরা দ্বন্দে জড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। যা সাধারণ মানুষের যাতায়াতকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে।

গণপরিবহনের এই সুশৃঙ্খল ই-টিকিটিং ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। পুরনো ভোগান্তির পুনরাবৃত্তি বন্ধ করে সড়কে শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের দাবি জানান পরিবহণ খাতের নেতারা।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে