অতিবৃষ্টি ও বেত্রবতী নদীর তীব্র স্রেতে সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার পৃথক তিনটি সেতু নদী গর্ভে ভেঙ্গে পড়ায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও পৌর সদরের তিনটি ওয়ার্ডের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। একই সাথে কলারোয়া উপজেলা সদরের সাথে পাশ্ববর্তী যশোরের কেশবপুর, মনিরামপুর, ঝিকরগাছা ও সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েপড়েছে। গত বৃহস্পতিবার প্রবল বৃষ্টির মধ্যে পৃথক পৃথক ভাবে একই দিনে পশুহাট মোড়ের পাশে অবস্থিত বেত্রবতী নদীর উপর লোহার বেইলি ব্রীজ, ও তরকারি বাজার সংলগ্ন কাঠ ও বাঁশের তৈরী সেতু এবং পৌরসভার গোপীনাথপুর গ্রামের তারকনন্দী নামক কাঠের সেতুটি প্রবল স্রোতের আঘাতে সেতু তিনটি ভেঙ্গেপড়ে। ফলে কলারোয়া সাথে পাশ্ববর্তী এসব উপজেলার মানুষের চলাচলে চরমদূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

১৯ সেপ্টম্বর ভেঙ্গে পড়া সেতু তিনটি এখনো সংস্কার না হওয়ায় দূর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। কলারোয়া উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া বেত্রবতী নদীর উভয় পাশে ৬টি করে মোট ১২টি ইউনিয়নের মানুষ বসবাস করে। কলারোয়া সদরে অবস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, রেজিষ্ট্রিঅফিস, ভূমি অফিস, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলারোয়া সরকারি কলেজসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্টান ও সরকারি দপ্তর রয়েছে। নদী পারাপারে হাজার হাজার মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কবলে পড়েছেন।

এই সকল সেতু পার হয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে ফিরে যেতে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে। উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া বেত্রবতী নদীর পূর্ব পাশের ৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ডের মানুষ ওপারে যেতে পারছেন না। দ্রুত সেতু তিনটি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এদিকে শক্রবার কলারোয়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কান্তি দাশ, সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী এসএম সোহরাওয়ার্দি ভেঙ্গেযাওয়া সেতু তিনটি পরিদর্শন করেন।

মাজারে ও দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মীদের উপর হামলার জড়িতদের বিচার চান ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান

এসময় দ্রুত পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন বেইলি ব্রীজটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামতের নির্দেশ দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শওকত হোসেন, উপজেলা বিএনপি'র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রকিব মোল্যা, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান তুহিন ।

যাযাদি/ এম