পাবনার বেড়ায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর ছেলে আসিফ সামস রঞ্জনের ৫ আগস্টের পরে বিক্ষুব্ধ জনতা গরুর খামার, মাছের খামার, বাসস্থান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করলেও শুকরের খামার এখনও অক্ষতই রয়েছে।
জানা যায়,বেড়া পৌরমেয়র থাকাকালীন আব্দুল বাতেন পৌর এলাকায় ‘স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার’ নামে ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা তৈরী করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তার ভাতিজা রঞ্জন (সাবেক ডেপুটি স্পীকার টুকুপূত্র) পৌরমেয়র হওয়ার পরে সেই আবর্জনার স্তুপে গড়ে তোলেন শুকরের খামার। শুকরের খামারে কয়েকশ’ শুকর লালনপালন করতেন রঞ্জন।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, শুকরগুলো দেশ ও দেশের বাইরে বেশ চড়া দামে বিক্রি করতেন তিনি। রঞ্জনের অর্থের প্রতি এতটাই মোহ ছিলো যে শেষ পর্যন্ত শুকরের খামার দিতেও তার রুচিতে বাঁধেনি- এমনটিই মন্তব্য করেন স্থানীয়রা।
৫ আগস্টের পরে বিক্ষুব্ধ জনগণ রঞ্জনের গরুর খামার, মাছের খামার, বাসস্থান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করলেও শুকরের খামার কেউ দখল করতে যায়নি। এখনও খামারটি অক্ষতই রয়েছে। শুকরগুলো তার মালিকের ফিরে আসার দিকে পথ চেয়ে আছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
পৌর এলাকার অধীননগর ‘স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার’ এর কয়েক বিঘা জমির আবর্জনার স্তূপে রঞ্জন গড়ে তুলেছিলেন শুকরের খামার। এতে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হলেও কেউই প্রকাশ্যে কথা বলার সাহস পেত না। এখনো রয়ে গেছে সেই শুকরের খামার।
যাযাদি/ এম