কালিয়াকৈরে মাদকসেবী ধরে গণধোলাই বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:৫০

কারিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের গাবচালা এলাকায় শুক্রবার সন্ধায় ছয় মাদকসেবীকে আটক গণধুলায় দিয়েছে ছাত্রজনতা । এসময় মাদক সেবীদেও কাছ থেকে দেড়শত গ্রাম গাজা উদ্ধার করে ছাত্র-জনতা। পরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ওই এলাকার মাদক বিক্রেতাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে। 

আটকৃতরা হলো চাবাগান এলাকাার মোঃ জাহিদুল ইসলাম (২২ কোনাবাড়ি এলাকার  সজিব হোসেন (১৮) কোনাবাড়ির এনায়েতপুর এলাকার রাকিব হোসেন(১৭) একই এলাকায় আশিক (১৯) জরুন এলাকার বায়জিদ হোসেন(১৯) ঠাকুরপাড়া এলাকার রিফাত হোসেন (২০) ।

এাদক ব্যবসায়ীরা হলো উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের গাবচালা গ্রামের মোঃ আমিন উদ্দিন আমিন, একই গ্রামের মোঃ বরকতের ছেলে মোঃ জসীম, মোঃ কফিলের ছেলে মোঃ মিনহাজ উদ্দিন ও মোঃ বাদল মিয়া । এরা সবাই প্রকাশ্যে মাদক দ্রব্য বিক্রি করে আসছে।  

এলাকাবাসী ও ছাত্রজনতা সুত্রে জানাগেছে শাক্রবার বিকেলে কোনাবাড়ি ও ঠাকুরপাড়া এবং চাবাগানের সাতজনের মাদক সেবীর একটি দল গাবচালা এলাকার জসীম ও আমিনের বাড়ি থেকে মাদ্রকদ্রব্য ক্রয় করে নিয়ে অটোরিক্সা যোগে সোনাতলা বাজারের দিকে যাচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে এলাকার ছাত্রজনতা তাদের অটোরিক্্রা গতিরোধ করে। পরে ওই গাড়িতে থাকা প্রায় ২শত গ্রাম গাজা উদ্ধার করে এবং তাদের গনধোলায় দিয়ে সাতজনকে একটি রশি দিয়ে বেধে স্থানীয় রঘুনাথপুর বাজারে নিয়ে যায়।এসময় বিক্ষোব্দ জনতা মাদক বিক্রেতাদেও বাড়িঘর ভাংচুর করে। পরে এলকাবাসী বিষয়টি কালিয়াকৈর থানায় জানালে কর্তব্যরত অফিসার বিষয়টি গাজীপুর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরকে জানানোর জন্য বলেন। সংবাদ পেয়ে গাজীপুর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সাব-ইন্সিপেক্টর  জুয়েল মিয়া তার একটি দল নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান ছয়জনের একটি মাদক সেবীর দল দেড়শত গ্রাম গাজাসহ এলাকাবাসী তাদের আটক করেছে। তিনি আসামীদের আটক করে না নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাহার উদ্দিনের জিম্মায় রেখে চলে যান।  গাজীপুর মাদক দ্রব্য অধিদপ্তরের পুলিশ কেন তাদের গ্রেফতার করে আইনের হাতে সোপর্দ করলো না এনিয়ে এলাকাবাসীর সংশয় দেখা দিয়েছে। 

গাবচালা এলাকার মোতালেব মিয়া জানান ওই সকল বাড়িতে প্রায় ২৫বছর ধরে মাদক বিক্রি করে আসছে। পুলিশ তাদের আটক করলে ও টাকার বিনিময়ে ছাড়া পেয়ে আবারও মাদক বেচা শুরু করে। প্রতিদিন সন্ধার পর থেকে সারা রাত মাদক বেচা চলে। 

আসামী গ্রেফতার  করে  না নিয়ে যাওয়ার কারন সম্পর্কে গাজীপুর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সাব-ইন্সিপেক্টর  জুয়েল মিয়া জানান ইউএিনও এর পারমিশন ছাড়া আমাদের আসামী গ্রেফতার করে নেওয়ার কোন ক্ষমতা নাই। তার সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি বিধায় আমরা আসামীদের স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছি।

স্থনীয় ইউপি সদস্য বাহার উদ্দিন জানান আটকৃত অনেকে স্কুলের ছাত্র প্রথমিক ভাবে তাদের বিচার করে ভবিষ্যতে তারা এমন কাজ করবেনা বলে তাদেও কাছ থেকে সাদা কাগজে মুচলিকা রেখে মাদকসেবীদেও অভিভাবকদের কাছে তুলে দেওয়া হয় এবং উদ্ধারকৃত গাজা স্থানীয়দের উপস্থিতিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

যাযাদি/ এসএম