বন্ধুর মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি, স্ত্রীসহ জড়িতদের বিচার চাইলেন সহপাঠীবন্ধুরা

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:২৭

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

ঢাকার কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি'০৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী বিল্লাল হোসেনের মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করছেন সহপাঠীবন্ধু ও স্থানীয়রা। 

এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার চুনকুটিয়া চৌরাস্তা এলাকায় মানববন্ধন ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের লিঙ্ক রোডে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তারা। মানববন্ধনে অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে সহপাঠীবন্ধুরা হত্যার বিচার দাবি করেন। 

গত ১২ সেপ্টেম্বর উপজেলার শুভাঢ্যা মধ্যপাড়া এলাকায় নিজ বাসগৃহ থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু এমন প্রশ্নে নিহত বিল্লালের বড়ভাই দুলাল হোসেন মুঠোফোনে জানান, আমরা কোনো ঝামেলায় যেতে চাইনা। বিল্লালের সহপাঠীরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে হত্যাকান্ড উল্লেখ করে মানববন্ধন করতে সহযোগিতা চেয়েছিলো। এটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয় বলেছি। তবে পরিবারের অন্য কেউ এবিষয়ে কিছু বলতে রাজি হোননি। এদিকে মানববন্ধনে এ হত্যাকাণ্ডে তার সহধর্মিণী স্বার্ণা আক্তার ও বাড়ির লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় ও সহপাঠীবন্ধুরা।
 
সহপাঠী অ্যাডভোকেট রিয়াদুল ইসলাম জানান, ছাত্রজীবনে খুব মেধাবী ছিল আমাদের বন্ধু বিল্লাল। পড়াশোনা শেষ চুনকুটিয়া চৌরাস্তায় কাপড়ের ব্যবসা করে স্বাভাবিকভাবেই জীবন যাপন করছিল। তার মোহাম্মদ(৯) ও আহম্মদ(৭) নামে দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। সেদিন হঠাৎ বিল্লালের মৃত্যু খবর শোনে তার স্ত্রী ও ভাইকে ফোন দিলে পরে কথা বলবো বলে কেটে দেন। বাড়িতে এসে লাশ দেখতে চাইলেও দেখতে দেয়নি তার পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ-প্রশাসনকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে বিল্লালকে দাফন করেন। যিনি বিল্লালের মরদেহ দাফনের পূর্বে গোসল করিয়েছে তিনি এটাকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলতে নারাজ। এমনকি তার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্নিত ছিলো বলে জানান তিনি। তবে এ হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে পরিবারের লোকজন স্বাভাবিক মৃত্যু বলে নাটক সাজানো হয়েছে দাবি এ সহপাঠীর। তাই বিল্লাল হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তারা। 

একই দাবি ব্যারিস্টার কামরুল হাসান তুষার, সোনিয়া শাহরিন, মো. সোহাগ সাব্বির, সুমি আক্তার, অ্যাডভোকেট আরিফ হোসেন মুন্না, নুপুর আক্তার, মো. রাসেল, মো. সোহেল, সাইদুল ইসলাম শুভসহ শতাধিক সহপাঠী ও স্থানীয়দেরও। এদিকে বিল্লালের মৃত্যুর ঘটনায় ১০ দিন অতিবাহিত হলেও, এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি থানায়। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যাযাদি/ এসএম