অশ্রুসিক্ত নয়নে মানবিক ইউএনও’র বিদায়

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:১৪

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

চোখে ছিলো জল, তবুও স্নিগ্ধ হাসি দিয়ে তালতলীর গণমাধ্যম কর্মীসহ উপজেলার সকলের কাছ থেকে অশ্রুসিক্ত নয়নে বিদায় নিলেন বরগুনার তালতলীর মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুম্পা।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ পায়রা সম্মেলন কক্ষে তালতলী প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ইউএনও’র বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেখা গেলো এমন হৃদয় বিদারক চিত্র। এসময় তালতলী প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয় বিদায়ী ইউএনও সিফাত আনোয়ার তুমপাকে। এছাড়াও এর আগে উপজেলার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে বিদায় সংবর্ধনা জানান। তিনি ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রয়ারী তালতলী ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। 

বিদায় কালে ইউএনও সিফাত আনোয়ার তুমপা কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, ভালো থাকুক এ উপজেলার প্রতিটি মানুষ। আমার কর্মজীবনে সেরা সঞ্চয় পেয়েছি আপনাদের ভালোবাসা। সরকারি চাকুরিজীবী হিসেবে বদলিজনিত কারণে কোনো জেলায় বা উপজেলায় স্থায়ী হওয়ার সুযোগ নেই প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের। উপজেলায় কর্মরত অবস্থায় সহকর্মী, জনপ্রতিনিধি,সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষের সব রকমের সহয়তা আমি পেয়েছি। কাজ আদায় করার জন্য হয়তো কারো বিরাগভাজন হয়েছি। অনেক সময় ইতিবাচক আবার কখনো নেতিবাচক ভাবে মানুষকে উপস্থাপন করা হয়। খোলা চোখ দিয়ে সবকিছু দেখা যায় না। চোখের আড়ালেও অনেক কিছু থাকে। তবে নিজের অজান্তেও যদি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকি, কারো প্রতি অন্যায় করে থাকি তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। এসময় উপস্থিত বেশির ভাগ সংবাদকর্মীদের চোখেই ছিলো জল। তৈরি হয় এক আবেগঘন পরিবেশ।

তালতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি খাইরুল ইসলাম আকাশ বলেন, তিনি জনবান্ধব মানুষ ছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যে উপজেলার সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মন জয় করেছিলেন। নিম্ন শ্রেণি থেকে উচ্চপদস্থ লোক খুব সহজে তার কাছে যেত পারত। কোন ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে ছুটে যেতেন ও সমাধান করতেন। তার পরবর্তী কর্মস্থলের জন্য শুভ কামনা রইলো।

যাযাদি/ এসএম