ডামুড্যায় ইউপি মেম্বারের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:১৩

ডামুড্যা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
ছবি যাযাদি

ডামুড্যায় ওয়াসিম মাতবর নামে এক ইউপি সদস্যের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় ডামুড্যার নুরু চেয়ারম্যানের গোজায় নামক এলাকায় এই মানববন্ধন করেন। এতে মহিলা-পুরুষ সহ দুই শতাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

ওয়াসিম মাদবর উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। এর আগে বেশ কয়েকবার মাদকসহ গ্রেপ্তার হন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, ওয়াসিম মাদবর দারুল আমান ইউনিয়নের একজন ইউপি সদস্য। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শীর্ষ মাদকসম্রাট, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী হিসেবে এলাকা চিহ্নিত ছিলেন। গত বছর তাকে ডিবির একটি দল ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেন। এছাড়া সে এলাকার এমন কোন লোক নেই যে তার অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে। জোর করে থানায় মামলা পর্যন্ত করিয়েছে , মামলা করিয়ে পুলিশের কথা বলে আসামির পক্ষ থেকে টাকা লেনদেন করতেন। তার টার্গেট সব সময় বিদেশ যাবে এমন যুবকদের।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ওয়াসিম মাতবর এর বাবা একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনিও মাদকের সাথে জড়িত ছিলেন বেশ কয়েকবার তিনি জেলে যান তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা ছিল তার ছেলে দেশে আসার পর তার বাবার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান আমাদের কাছে থেকে। আমরা তাকে জনপ্রতিনিধি বানাই। কিন্তু তিনি জনপ্রতিনি হওয়ার পর তার বাবার মত আচরণ শুরু করেন। তিনি একজন শ্রেষ্ঠ মাদক কারবারি এবং চাঁদাবাজিও সন্ত্রাসী। সে কারো জমি বিক্রি হবে শুনলে তার কাছে টাকা দাবি করতেন। তিনি এলাকার মানুষদের হুমকি দিয়ে রাখতেন। হয়রানি করতেন পুলিশ নিয়ে আসতেন। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পেতেন না

ভুক্তভোগী ইদ্রিস আলী বলেন, ইউপি সদস্য ওয়াসিম মাদবর আমার চাচতো ভাই। সে আমার নামে তিনটি মামলা করেছে। আমার ১১ বছরের ছেলের নামে ও আমার নামে একটি ধর্ষণ মামলা করেছে। আমার বাড়ি যাওয়া যে রাস্তা সেই রাস্তা দেয়াল করে আটকে রেখেছে। প্রতিবাদ করতে গেলে সে আমাকে মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আমি এখন নিরুপায় হয়ে গেছি।

জিসান আহমেদ নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় আমাদের বাড়ির ঘাটা থেকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ আমাদেরকে বিভিন্ন হুমকি দেয়। সে পুলিশের সাথে মিলে আমাদের কাছ থেকে প্রায় ৩০০০০ টাকা নেয় পুলিশকে দেবে বলে। কোন অপরাধ ছাড়াই আমাদের এমনটি করে। গত কয়েকদিন আগে আমরা টাকা চাইতে গেলে আমাদের উপর চড়াও হয়। হঠাৎ করে খবর পাই আমাদের নামে সে ছিনতাই মামলা দিয়েছে। এখন আমরা পুরো নিরুপায়। আমরা এমন ইউপি সদস্যকে চাই না।

আরেক ভোক্তভোগী রেনু বেগম বলেন, আমার বাড়ির পাশে একটি ছোট জায়গা ছিল।  আমার ই দখলে হঠাৎ করে একদিন এসে সেই জায়গায় যেতে হলে আমার তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে হবে নাহলে যেতে পারবো না। পরে আনু মাধ্যমে আমি পঞ্চাশ হাজার টাকা দেই। কোন কারন ছাড়াই। আমাকে বেপক হুমকি ধামকু দিয়েছিল। তখন পুলিশের ভয়ে কোন কথা বলতে পারি নি। এখন আমরা তার পদত্যাগ চাই।

যাযাদি/এসএস