বরিশালে খাল পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৩

বরিশাল অফিস
ছবি : যায়যায়দিন

বরিশাল নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পরিস্কার অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। খালসমূহের প্রবাহ পূর্বেরন্যায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭ টায় এ পরিস্কার অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। 

নগরীর ঐতিহ্যবাহী জেল খাল ও লাকুটিয়া খালের সংযোগ স্থল মড়কখোলার পোল থেকে খাল পরিষ্কার অভিযানের উদ্বোধন করেন নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গৌতম বাড়ৈ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনদীপ ঘরাই, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লুসি কান্ত হাজন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার, বিভিন্ন সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিডি ক্লিন বরিশাল, বেলা, বাপা, এসএনডিসি ও মানবীসহ বিভিন্ন সংগঠনের সেচ্ছাসেবকরা। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরাও অংশগ্রহন করেন। 

এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, জেলার গুরুত্বপূর্ণ খালসমূহের প্রবাহ পূর্বেরন্যায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন নিয়মিত কাজ করবে। তবে খাল পরিচ্ছনন্ন রাখতে খালের আসেপাশে অবস্থানরত দোকানপাট ও বসতবাড়ির মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি তাদের প্রতি আহবান জানান খাল দখল ও দূষণ থেকে বিরত থাকতে। তিনি আরও বলেন, ছাত্রদের আন্দোলন আমাদের যে পথ দেখিয়েছে, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের আমরা সেই চেতনা ধারণ করে উদ্যোগী হয়ে এগিয়ে এসেছি। এখন সবার সহায়তায় ধান-নদী-খাল এই তিনে বরিশালের পুরানো সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাই।

খাল পরিস্কার কাজে অংশগ্রহনকারী সরকারি ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষার্থী দীপ্ত কুমার দে বলেন, জেল খাল হচ্ছে নগরীর ধমনি। কিন্তু এলাকাবাসীর ময়লা ফেলা এবং সিটি করপোরেশন সঠিকভাবে পরিষ্কার না করাসহ দখল দূষণে খালটি মৃতপ্রায়। জেলা প্রশাসনের আহবানে আজ আমরা পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়েছি। নগরী পরিচ্ছন্ন রাখলে আমরাও ভালো থাকবো।

আরেক অংশগ্রহনকারী বিডি ক্লিন বরিশালের বিভাগীয় সমন্বয়ক জায়েদ ইরফান বলেন, আজ আমাদের সংগঠনের শতাধিক কর্মী সরাসরি অংশ নিয়ে খাল পরিচ্ছন্ন করছে। আমি সবাইকে বলতে চাই, একা নয় এক হয়ে গড়ে তুলতে হবে পরিচ্ছন্ন ও জীবানুমুক্ত বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়ক রফিকুল আলম বলেন, পরিচ্ছন্নতার এই অভিযান নিয়ে আশা-হতাশার কিছু বলবো না। ২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে খাল পরিচ্ছন্ন, পুনরুদ্ধার ও খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেসবের কোনো সুফল নগরবাসী পাননি। কারণ সেই উদ্যোগগুলো পরিকল্পিত হয়নি। 

আমরা শুরু থেকেই দাবি করে আসছিলাম খালগুলোর সীমানা নির্ধারণ করা, অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা এবং খনন করার। জেলা প্রশাসন এবার যে উদ্যোগ নিয়েছে এটি ইতিবাচক হোক এই প্রত্যাশা করি। পাশাপাশি জনগণকেও সচেতন হতে হবে যেন তারা ময়লা-আবর্জনা ফেলে খালগুলোকে ভরাট ও দখল করে না ফেলেন।

যাযাদি/ এম