শিক্ষকের বেত্রাঘাতে নিভে গেলো শিক্ষার্থীর চোখের প্রদীপ

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:৩৯

ফেনী প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

ফেনীতে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রের ডান চোখের প্রদীপ নিভে গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তি ও ক্ষতিপূরনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীর মা হাসিনা আক্তার বলেন, গত ১৪ মে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ওয়াজেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাসে যান মাহেদুল হাসান। গণিতে ভুল করার অভিযোগে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাপস মজুমদারের ওই ছাত্রকে বেত্রাঘাত করে। পরে ছাত্রের শোর চিৎকারে স্কুলের শিক্ষক, কর্মচারী ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দাগনভুঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। 

সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফেনীতে রেফার করেন। একপর্যায়ে মাহেদুল হাসানকে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে নেওয়া হয়। কয়েকদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
সেখানে একমাস চিকিৎসা দেওয়ার পরে তাকে ভারতের  চেন্নাই শংকর  নেত্রালয় হাসাপাতালে  পাঠানো হয়।তারা মেডিকেল  বোর্ডের মাধ্যমে জানান  তার চোখের মনি থেকে  পানি সরে  গেছে। রাজা ছিদ্র  হযে গেছে, ভিতরে  ক্ষত রযেছে। তার চিকিৎসা   চলবে।

বাকি বাম চোখে  এফেক্ট  হতে পারে। তারা হতাশ হয়ে  ফিরে আসেন। 

এ পর্যন্ত শিক্ষক সমিতি থেকে শুরু করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

আহত মাহেদুল হাসানের বাবা রেয়াজুল হক বলেন, ‘শিক্ষক তাপস মজুমদারের বেত্রাঘাতে আমার ছেলের ডান চোখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। আমি ওই শিক্ষকের শাস্তি চাই।’

বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক তাপস মজুমদারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

দাগনভুঞা উপজেলার জগতপুর এলাকার ডাক্তার বাড়ির প্রবাসী রেয়াজুল হকের ছেলে মাহেদুল হাসান। আর অভিযুক্ত শিক্ষক উপজেলার রামানন্দপুর গ্রামের কামিনী মজুমদারের ছেলে।

যাযাদি/ এস