বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

পূর্বধলা-ঘাগড়া রাস্তার বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ চরমে

পূর্বধলা (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি
  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:৩৫
ছবি : যায়যায়দিন

পুরো রাস্তার কার্পেটিং উঠে গেছে। দুই পাশে এপ্রোচের মাটি সরে গিয়ে রাস্তায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভেঙ্গে গিয়েছে পুকুরের পাশের পেলাসেটিং। স্থানে স্থানে ধেবে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের।

এমন অবস্থায় রাস্তাটি দিয়ে দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার পূর্বধলা-ঘাগড়া রাস্তার এমন বেহাল দশা বিরাজ করছে। রাস্তাটির এমন বেহাল দশায় চলাচলে বিঘ্ন সৃস্টি হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা দাবী করছেন রাস্তাটি দ্রæত সংস্কারের।

পূর্বধলা সদর থেকে ঘাগড়া ইউনিয়নের ঘাগড়া বাজার পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটি একটি জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৬টি গ্রামের সাধারন লোকজন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীগণ উপজেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আনাগুনা করে থাকে। যাদের মধ্যে পাশ্ববর্তী ধোবাউড়া উপজেলার লোকজনও রয়েছে।

এই রাস্তার আশে পাশে রয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কয়েকটি বাজার। এ রাস্তায় এক সময় ঘাগড়া হইতে রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত সরাসরি বাস চলাচল করলেও বর্তমানে রাস্তার ভগ্নদশার কারনে তা বন্ধ হয়ে গেছে। একই কারনে সিএনজি ও মাহিদ্র পরিবহনগুলোও বন্ধ রয়েছে। সরে জমিনে দেখা গেছে পুরু রাস্তার কার্পেটিং উঠে গেছে। কালডোয়ার, কুমারখালী, দুধী এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে মাটি ধেবে যাচ্ছে।

হাটধলা সুনিল মার্কেট, মেঘশিমুলসহ বিভিন্ন জায়গায় ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। মেঘশিমুল ব্রিজ সংলগ্ন ও দুধি এলাকায় রাস্তার দুপাশের এপ্রোচের মাটি সরে গিয়ে রাস্তায় ভাংগন সৃষ্টি হয়ে মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া রাস্তাটি মাত্র ১০ফুট প্রশস্ত হওয়ায় বড় বাস বা ট্রাক মুখোমুখি হলে একে অপরকে সাইড দিতে পারে না।

এই রাস্তার নিয়মিত বেটারী চালিত অটোরিক্সা চালক বিজয় চন্দ্র দে জানান, রাস্তার ভগ্নদশার কারনে এই রাস্তায় গাড়ী চালাতে খুব কষ্ট হয়। কয়দিন পরপর অটো নষ্ট হয়ে যায়। সময় বেশি লাগার কারনে অধিকাংশ যাত্রী অটোতে না উঠে মোটরসাইকেলে আনাগোনা করেন। ফলে যাত্রী খরায় ভোগতে হয় তাদের। তাছাড়া রোগীদের নিয়ে আনাগোনা করা একেবারেই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।

ঘাগড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোতালিব জানান, ঘাগড়া থেকে পূর্বধলা উপজেলা সদর পর্যন্ত এই রাস্তাটি একটি গুরুত্বপুর্ণ রাস্তা। প্রতিদিন হাজারো মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে উপজেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আনাগোনা করে থাকেন। বর্তমানে রাস্তাটির ভগ্নদশার কারনে মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তাছাড়া রাস্তাটি অপেক্ষাকৃত সরু হওয়ায় বড় গাড়ি আনাগুনা করতে পারে না। তাই রাস্তাটির প্রশস্ততা বাড়িয়ে দ্রæত সংস্কারের দাবী জানান তিনি।

পূর্বধলা এলজিইডি অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাওন আহমেদ জানান, পূর্বধলা থেকে ঘাগড়া পর্যন্ত রাস্তাটির দুই পাশে প্রচুর গাছ রয়েছে। আর এই গাছগুলি রাস্তাটির প্রসস্থতা করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পরেও দুই পাশে ১ফুট করে ২ফুট বৃদ্ধি করে রাস্তাটি সংস্কারের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

আরসিআইপি প্রজেক্ট এর আওতায় সারাদেশে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই কাজটি বাস্তবায়ন হতে পারে। প্রসস্থতার ক্ষেত্রে তিনি আরো জানান ১২ফুটের বেশি প্রসস্ত করতে হলে জমি অধিগ্রহন করতে হবে যা সম্ভব নয় আবার রাস্তার সব গাছ কাটতে হবে যা বন বিভাগ থেবে অনুমতি পাওয়া দুষ্কর।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে