বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১

চকরিয়ায় ৩ দিনের ভারী বর্ষনে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত,  বন্যার আশঙ্খা

চকরিয়া (কক্সবাজার)প্রতিনিধি
  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:৪৯
ছবি : যায়যায়দিন

কক্সবাজারের চকরিয়ায় টানা ৩দিনের প্রবল ভারী বর্ষণে বিভিন্ন নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এদিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শুক্রবার বিকালে মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমা ছুঁই ছুঁই প্রবাহিত হয়েছিল। এই অবস্থায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার সবকটি নিন্মাঞ্চলে বন্যার আশঙ্খা রয়েছে।

জানা গেছে, ৩দিনের রেকর্ড পরিমাণ ভারী বৃষ্টিপাতে চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী, বিএমচর, কোনাখালী ও বদরখালী ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অন্তত ৩০ হাজার লোক পানি বন্দি রয়েছে। এছাড়া আমন ধানের ক্ষেত ও শীতকালিন বিভিন্ন সবজির চারা বৃষ্টির পানির নীচে রয়েছে ।

মানকিপুর-সুরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক বলেন, মানিকপুর এলাকায় বৃষ্টিতে নিচু এলাকার অন্তত ২শতাধিক ঘরবাড়ি বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ী এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছালেকুজ্জামন বলেন, আমার ইউনিয়নের পহরচাঁদা, গোবিন্দপুর ও ডেইঙ্গাকাটা এলাকায় অধিকাংশ ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তাদের নিরাপত্তা ও শুস্ক খাবার বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

অপরদিকে পেকুয়ার ৭ ইউনিয়নের মধ্যে সদরের ইউনিয়নের মেহেরনামা, রাজাখালী, উজানটিয়া ও মগনামা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার লোকজন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অধিকাংশ চিংড়িঘের বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিতে ডুবে গেছে ধান ও সবজির ক্ষেত। বর্তমানে এই উপজেলার প্রায় ১২ হাজার লোক পানি বন্দি রয়েছে।

এছাড়া বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় মাতামুহুরী নদীতে উজানের পানি নামলে রাতে বন্যার আশঙ্খা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, অতি বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। মাতামুহুরী নদীতে বাড়ছে পাহাড়ি ঢলের পানি। এই উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের এলাকার খোঁজখবর রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পাহাড়ের পাদদেশে ও নদীর তীরবর্তী অবস্থানরত লোকজন নিরাপদে সরিয়ে যেতে উপজেলার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, বন্যার সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপকুলের সকল স্লুইসগেট সমুহের জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন সহায়তা করতে সবসময় প্রস্তত রয়েছে বলেও তিনি জানান।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে