বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী শাল্লা উপজেলার কৃতি সন্তান শিশির মোহাম্মদ মনির বলেছেন কে হিন্দু কে মুসলমান এইটা ভেঙ্গে দেন, কে হিন্দু কে মুসলমান এইটা কবর দিয়ে বলেন কে হিন্দু কে মুসলমান এইটা ইম্পর্ট্যান্ট নয় সকলেই আমারা মানুষ।
আগে ত্ব মানুষ, পরে ত্ব ধর্ম, আগে ত্ব মানুষ হতে হয়, এর পর না ধর্ম মানতে হয়?
তাতো হবেনা, যিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তার সম্মান তাকে দেন, যিনি ব্যবসায়ী তাকে তার সম্মান তাকে দেন তবেই আপনি সম্মান পাবেন।
মানুষে মানুষে পার্থক্য থাকে, কে ছোট-কে বড়, কেউ ধর্মে আরেকটা এটা খোদার সৃষ্টির একটা রহস্য।
আমাদের মধ্যে যদি পার্থক্য না থাকত, যদি সবাই সুস্থ থাকতাম তা হলে খোদার ক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকতনা, এই পার্থক্য থাকার কারণে মানুষ তার সৃষ্টি কর্তাকে মানে। "মোরা এক বৃন্তে দু'টি কুসুম - হিন্দু -মুসলমান,
মুসলিম তার নয়ন মনি, হিন্দু তাহার প্রাণ"--
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত
এই উক্তিটি কে সামনে রেখে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা ও সকল ধর্মের সুদৃঢ় বন্ধনের প্রত্যাশায় ১৪ ই সেপ্টেম্বর শনিবার শাল্লা উপজেলা পরিষদ গণমিলনায়তনে সচেতন শাল্লা বাসীর আয়োজনে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব বলেন।
তিনি আরো বলেন একজন দরিদ্র মানুষের শান্তি আর একজন অট্টালিকায় বসবাস কারির শান্তি ভিন্ন রকম, এগুলো যদি না থাকতো মানুষ ঈশ্বর চিনতনা।
মানুষে মানুষে যে পার্থক্য এই পার্থক্য হল খোদার সৃষ্টির রহস্য বুঝার একটা পদ্ধতি।
এজন্য কোরআন শরীফে একটা আয়াত আছে যে আমি মানুষ কে জাতিতে, ভাষায়, গোষ্ঠীতে বিভাজন করেছি এজন্য তারা যেন বুঝতে পারে আমার রহস্য কত ঝটিল এবং জ্ঞান গভীর।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ শাল্লা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান শিক্ষক বলরাম পুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গঙ্গেশ চৌধুরীর সভাপতিত্বে
জামায়াতে ইসলামী শাল্লা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সোহেল আহমদের সঞ্চালনায়
অনুষ্ঠিত সমাবশে আরো বক্তব্য রাখেন শাল্লা উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও শাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দূস সাত্তার মিয়া, শাল্লা কলেজর সহ কারী অধ্যাপক ও শাল্লা উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি তরুণ কান্তি দাস, বাহারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র চৌধুরী, গোবিন্দ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিপাল দাশ মিল্টন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শাল্লা উপজেলার সভাপতি হাফেজ মাওলানা নূরে আলম সিদ্দিকী, হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুবল চন্দ্র দাস, বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু, শাল্লা থানা মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আবুল কাশেম, ঘুঙ্গিয়ার গাঁও বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুবির সরকার পান্না, শাল্লা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনাদি তালুকদার, প্রধান শিক্ষক শ্যামসুন্দর উচ্চ বিদ্যালয় নিহার রঞ্জন চৌধুরী, শাল্লা উপজেলা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক বাদল চন্দ্র দাস, বকুল আহমদ তালুকদার প্রমুখ ।
বক্তাগণ দিরাই শাল্লা তথা হাওর এলাকার মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিনের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট রাখার আহ্বান জানিয়ে বিস্তর বক্তব্য রাখেন।
এরপর দুপুরে একই স্থানে উপজেলার প্রতিবন্ধীদের কে খাবার আপ্পায়ন ও জন প্রতি ৫০০ করে টাকা হাতে তুলে দেন। এছাড়া তিনি বিকাল ৩টায় উপজেলা সদরস্থ ডুমরা গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
জানা যায় আগামী কাল রবিবার তিনি হাবিবপুর ইউনিয়নের শাশখাই বাজারে ও বিকালে শাল্লা ইউনিয়নের সাতপাড়া বাজারে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন স্থানে পথসভা করবেন।
যাযাদি/ এম