বাউফলে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন 

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:২১

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি শিরিন এর পদত্যাগের দাবিতে ক্লাশ বর্জন করে মানববন্ধন ও বিক্ষাভ কর্মসূচী পালন করেছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

আজ শনিবার সকাল ১০ টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে কয়েকশত শিক্ষার্থী এ কর্মসূচী পালন করেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কালাইয়া বন্দরে ঘুরে হায়াতুনেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে পৌছালে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ গ্রহন করেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। 

এ সময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি শিরিনের বিরুদ্ধে আর্থিক দূর্নীতি,অনৈতিক কর্মকান্ড,অতিরিক্ত ফি ধার্য, ছাত্র হত্যাসহ নানা ধরনের অপরাধের অভিযোগ তুলে ‘দফা এক দাবি এক, প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ’,‘আমার ভাই মরলো কেন, প্রধান শিক্ষক জবাব চাই’ বলে শ্লোগান দিতে থাকেন।  

উল্লেখ্য, গত বছরের ১২ মে কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ছাদে অবৈধ ডিস এন্টিনার ক্যাবল ঝড়ে বিছিন্ন হয়ে যায়। ওই ক্যাবল সংযোগ দেওয়ার সময় বিদ্যুতের ছেড়া তারে জড়িয়ে বেল্লাল হোসেন নামে দশম শ্রেনির এক ছাত্র নিহত হয়। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তুলেন শিক্ষার্থীরা ও নিহতের বাবা তাজ উদ্দিন।

ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনির শিক্ষার্থী সোহান বলেন, আমরা  প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিত মানববন্ধন ও বিক্ষাভ কর্মসূচী পালন করতে ছিলাম। বেলা ১টার দিক সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম স্যারের আশ্বাসে কর্মসুচী স্হগিত করি। আমাদের দাবি না মানলে পরবর্তীতে আরো কঠোর কমসুচী পালন করা হবে। 

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম বলেন, ছাত্রদের আন্দোলন সম্পর্কে আমার কিছু জানা নাই। আজ প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেন নাই। প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মহোদয়ের সঙ্গে আলাচনা করে এ বিষয়ে কি করা যায় তা শিক্ষার্থীদের জানানো হবে বলে আমি শিক্ষার্থীদেরকে জানিয়েছি।

শনিবার স্কুল খোলা রাখার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, কালাইয়া বন্দর দক্ষিনবঙ্গের একটি বৃহত্তম বাজার। সোমবার বাজারের দিন তাই ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক  সোমবার ও শুক্রবার এই দুই দিন আমরা সাপ্তাহিক ছুটি ভোগ করি।

এ বিষয় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি শিরিনকে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জেনে তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ন ফোন এসেছে বলে সংযোগ বিছিন্ন করে দেন।

উপজলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নাজমুল হক বলেন, এ বিষয় আমাকে কেহ অবহিত করেন নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়াজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।

যাযাদি/ এম