বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষক পদত্যাগ দাবি

কমপ্লিট শাটডাউনে অচল নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী
  ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:২০
ছবি : যায়যায়দিন

অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের কমপ্লিট শার্টডাউন কর্মসূচিতে দুইদিন থেকে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ।

বুধবার থেকে কলেজের প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে। এই পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে কেউ ঢুকতে পারছেন এবং ভেতর থেকে কেউ বেরও হতে পারছেনা। প্রশাসনিক ভবনের সামনে শ্লোগান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শ্লোগান দিতে দেখা যায়।

জানা যায়, গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইন, উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন ও সার্জারি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ কামরুল হোসাইনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এসসয দাবি আদায়ে অবস্থান কর্মসূচিসহ শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। এরপরও কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নেওয়ায় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলন কারী শিক্ষার্থী মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, আমরা পদত্যাগের দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি দিয়েছি। তারা কালক্ষেপণ করছে তবে পদত্যাগ করছেনা। প্রয়োজনে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিবো তাও তাদের পদত্যাগ করতেই হবে। পদত্যাগ ছাড়া তাদের কোনো পথ নেই।

আতিক নামের আরেক আন্দোলকারী বলেন, আমাদের একটাই দাবি, খুনি ও স্বৈরাচার হাসিনার দোসর অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক সৈয়দ ডা. কামরুল হোসাইন ও ডা. রিয়াজকে অপসারণ করতে হবে। আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে চাই। তাই আমাদের দাবি মেনে নিক৷ তারপর সব সহজ হবে। নাহয় আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলন হবে। তাদের পদত্যাগ না করিয়ে আমরা ফেরত যাব না।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষের বক্তব্যের জন্য তাদের কাউকে ক্যাম্পাসে বা ফোনে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে সার্জারি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ কামরুল হোসাইন বলেন, শিক্ষার্থীরা কি কারণে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। আমি সব সময় শিক্ষার্থীদের ভালো চেয়েছি। তাদের এবং কলেজের অমঙ্গল হয় এমন কোন কাজ কখনো করিনি, সামনেও করবো না।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে