পিরোজপুরের নেছারাবাদে গভীর রাতে মাটি খুঁড়ে ঘরে প্রবেশ করে সিরিঞ্চের মাধ্যমে শরীরে বিষ প্রয়োগ করে কলেজ শিক্ষার্থীকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। আরিফ হোসেন নামে এক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে ঐ শিক্ষার্থীর বাবা বাদি হয়ে নেছারাবাদ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
রবিবার (৮সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১.৩০টার সময় আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের রায়েরকাঠি গ্রামে ঐ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীরা জানান, আরিফের সাথে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলিয়া আসিতেছিল। আরিফ আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিত এবং বিভিন্ন সময় পথে ঘাটে বিরক্ত করত। এই নিয়ে বিগত দেড় বছর পূর্বে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা হলেও আরিফ মেয়ের পরিবারের লোকজনের উপর ক্ষিপ্ত ছিলো। প্রায়ই মেয়ের পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও খুন জখমের হুমকী দিতো।
অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি পার্শবর্তী উপজেলা বানারীপাড়ার বাইশারী গ্রামে। এ সময় তার সাথে সাইদুল ইসলাম নামে আর একজন সহযোগী ছিলেন।
শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় আমরা ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। আরিফ ঘরের উত্তর পাশ দিয়ে মাটি খুঁড়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। আমার মেয়ে সামনের রুমে ঘুমানোছিলো। তখন আরিফ আমার মেয়েকে খুন করার লক্ষে এসিমিক্স নামের একটি কীটনাশক ওষুধ সিরিঞ্চ দিয়ে পুষ করার চেষ্টা করে এবং পুষ করতে গিয়ে সিরিঞ্চ বোকা হয়ে যায়। আমার মেয়ে ডাক চিৎকার দিলে আমার স্ত্রী ঘুম থেকে উঠলে আরিফ পালিয়ে যায়। পরে চিৎকার চেচামেচি শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আরিফ চেতনানাশক (বিষ) ওষুধ এবং তার ব্যবহার করা মোবাইলটি ফেলে যায়।
পরে আমার মেয়েকে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজনদের জানাই। বর্তমানে আমার মেয়ে ও আমার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছি এবং আমার পরিবারের লোকজনকে জীবন নাশের হুমকী প্রদান করে।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এইচ এম শাহীন জানান, এ বিষয়ে একটা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যাযাদি/ এস