বাংলাদেশেও এ দিবসটি বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে। চট্রগ্রামে অবস্থানরত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকগন নগরীর একটি রিহ্যাব সেন্টারে সাধারন মানুষের মধ্যে কোমড় ব্যথায় ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার ভূমিকা বিষয়ে সচেতনতা সেমিনার করেন।
বিশ্ব ফিজিওথেরাপী দিবসের আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, গবেষণা অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি ৪ জনে একজন কোমড় ব্যথায় ভুগছেন। ব্যথা হলেই ব্যথার ওষুধ বা অপারেশন সমাধান নয়। কোমড় ব্যথার কারন নির্ণয় করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবসে এবারের আন্তর্জাতিক প্রতিপাদ্য বিষয় ‘কোমড় ব্যথা ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধে ফিজিওথেরাপিস্টের ভূমিকা রয়েছে’।
সভায় আলোচকবৃন্দ আইনের ধারা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন- ২০১৮ অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি প্রেসক্রিপশন এবং চিকিৎসা প্রদানকারী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক তথা ফিজিওথেরাপিস্ট হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা স্বীকৃত পাবিলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদ অধিভুক্ত প্রদত্ত ৫ বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব সাইন্স ইন ফিজিওথেরাপি (প্রফেশনাল) ডিগ্রি। তারা রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাক্টিশিনার হিসেবে পেশাগত দ্বায়িত্ব পালন করবেন। অনুরুপ ভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ থেকে ৩/৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলোজি (ফিজিওথেরাপি) তে সনদ প্রাপ্ত রিহ্যাবিলিটেশন টেকনোলজিস্টগন আইন অনুসারে ফিজিওথেরাপিস্টদের তত্তাবধানে সেবা প্রদান করবেন। কোন ভাবেই ডিপ্লোমাধারী মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট বা টেকনিশিয়ানগন নিজেদের ফিজিও দাবী করা বা সরাসরি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা করার সুযোগ নেই। এই বিষয়গুলি সম্পর্কে জনগনকে সচেতন হতে হবে।
উল্লেখ্য ফিজিওথেরাপিতে কোন প্রকার সনদ নেই অথবা ডিপ্লোমাধারী মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট বা ফিজিওথেরাপিতে অধ্যয়নরত ( ইন কোর্স বা অন কোর্স) এমন অনেকেই নিজেদের ফিজিওথেরাপিস্ট তথা ফিজিও পরিচয় দিয়ে সাধারন রোগীদের ধোকা দিয়ে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। অথচ রোগীরা জানেনা কে ফিজিওথেরাপিস্ট বা কে টেকনোলোজিস্ট বা কে টেকনিশিয়ান। এই বিষয়ে জনগনের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
সভায় রোগীদের প্রশ্নের জবাবে ভূয়া ফিজিওথেরাপিস্টদের বিরুদ্ধে করনীয় হিসেবে বলা হয়, যেহেতু অনেকে আইন না মেনে ফিজিওথেরাপিতে ৫ বছর মেয়াদী স্নাতক ডিগ্রী না নিয়ে নিজেদের ফিজিও পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করে যাচ্ছেন, তাদের একটি তালিকা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদফতরে জমা দেওয়া হয়েছে। তথ্য গোপন করে অনেকেই বিপিটি ডিগ্রী না নিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন। তাই এই সংস্থাটি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন।
যাযাদি/ এসএম