ঢাকায় নৌ-দুর্ঘটনায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। দুই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তাদের পরিবারজুড়ে শোকের মাতম বইছে। স্বজনদের বুকফাটা আর্তনাদ ও হৃদয় বিদারক কান্নার করুণ দৃশ্য নাড়া দিচ্ছে এলাকাবাসীকেও।
নিহতরা হলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়ন ৪ নম্বর ওয়ার্ড (সেনের হাওলা) গ্রামের বাসিন্দা শহিদ তালুকদার (৪০) এবং অপরজন একই গ্রামের ইউনুস প্যাদা (৪৫। তারা ঢাকার রাফি এন্ড হৃদয় নামের বালু তোলার বাল্কহেডের শ্রমিকের কাজ করতো।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টায় ঢাকার আশুলিয়ার রুস্তমপুর গুদারাঘাট এলাকায় অবস্থানরত রাফি এন্ড হৃদয় নামের বাল্কহেডটিকে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি জাহাজ ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। এসময় বাল্কহেডটির মধ্যে ছিলেন শহিদ তালুকদার এবং ইউনুস প্যাদা। পরে সকালে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
দুর্বিষহ এ ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা ইঞ্জিন মেস্তরি ফিরোজ প্যাদা জানান, মঙ্গলবার রাত ১১ টা পর্যন্ত বাল্কহেডে কাজ করা হয়। কাজ শেষ করে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যাই। রাত আনুমানিক ২ টার সময় হঠাৎ একটি বালুর জাহাজ এসে ধাক্কা দিয়ে আমাদের বাল্কহেডটি তলিয়ে দেয়। আমি উপরের কেবিনে ছিলাম। ডুবে যাওয়ার পর লাথি মেরে সাইট ভেঙ্গে অনেক কষ্টে বের হই। কিন্তু নিচ তলায় কেবিনে থাকা স্টাফ ইউনুচ প্যাদা ও শহিদ তালুকদার আর বের হতে পারে নাই।
বুধবার রাতে ঢাকা থেকে নিহতদের লাশ দেশে আনা হয়, পরে গোসল ও রাত ২ টায় জানাযার নামাজ শেষে তাদের নিজ নিজ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মর্মান্তিক এ ঘটনায় রাঙ্গাবালী উপজেলা আমীরে জামায়াত মুহাম্মদ কবির আহম্মেদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন তিনি।
যাযাদি/ এমএম