নবীগঞ্জ উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় শিপন মিয়া (৩০) নামে এক যুবক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ও চাচা গুরুতর আহত হয়েছে। পরে ক্ষুব্দ হয়ে নিহতের স্বজনরা প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। বুধবার (২৮ আগষ্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর ইউনিয়নের ভবের বাজার সংলগ্ন ব্রিজের নিকটে হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত শিপন মিয়া (৩০) সদর ইউনিয়নের পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামের মৃত হুশিয়ার মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন- নিহত শিপনের ভাই কুটি মিয়া ও তার চাচা জীবন মিয়া। সূত্রে জানা যায়- নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামের হুশিয়ার মিয়ার ছেলে শিপন ও কুটি মিয়ার সঙ্গে পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া, চরগাঁও গ্রামের শেখ আবিদের ছেলে শেখ সুমন মিয়াসহ ৭-৮ জন সহপাঠীর বিরোধ চলে আসছে। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভবেরবাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন শিপন মিয়া, কুটি মিয়া ও তার চাচা জীবন মিয়া। এ সময় ভবেরবাজার ব্রিজের নিকট পৌছামাত্র পূর্ব বিরোধের জের ধরে রুবেল, সুমনসহ ৭-৮ জন লোক শিপন, কুটি ও জীবনের উপর হামলা চালায়। এতে তারা গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিপনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত কুটি মিয়া ও জীবন মিয়াকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী ঘটনাস্থল ও নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করে। পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে যায়। নিহত শিপনের স্বজনদের অভিযোগ- পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে শিপনকে শ্বাসরোদ্ধ করে রুবেল ও সুমনসহ ৭-৮ জন হত্যা করে। এ সময় তাদের হামলায় কুটি ও জীবন গুরুতর আহত হয়। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান তারা। এদিকে এঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে হামলার ঘটনায় জড়িত রুবেল মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায় নিহত শিপনের স্বজনরা। এ সময় বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপর একটি সুত্রে জানাযায়, রুবেল মিয়া, শেখ সুমন পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামে একটি মোবাইল ফোন চুরি করে। এঘটনায় শালিস বিচারে তাদের অর্থ দন্ড হয়। ওই চুরির ঘটনার বিচারের জন্য রুবেল, সুমনসহ তাদের সঙ্গীয় লোকজন কুটি মিয়া ও তার পরিবারকে দায়ী করে তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ ঘটনার রেশ ধরে রুবেল, সুৃমন গংরা কুটি মিয়ার উপর হামলা ও তার ভাই শিপন মিয়াকে হত্যা করেছে বলে ধারনা করা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
যাযাদি/এসএস